দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ওজন কমানোর ছবক হিসেবে আগে বলা হতো, দিনের শুরুতে বেশি ক্যালোরি এবং সন্ধ্যায় কম ক্যালোরি খেলে ওজন কমে। এবার নতুন গবেষণা বলছে, সকালের খাবার ও রাতের খাবার নয়, ঘড়ি ধরে খাওয়ার অভ্যাসেই কমতে পারে ওজন!
নিয়ম মেনে ডায়েট করছেন? ওজন কমাতে সকালের ভূমিকা ঠিক কতোটা, তা আমরা অনেকেই জানি। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে একেবারেই ভিন্ন কথা। আমাদের শরীরের প্রায় প্রতিটি কোষই ২৪ ঘণ্টা চক্র অনুসরণ করে থাকে। তার উপর নির্ভর করে আমাদের শরীরের নানা জটিল শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াগুলোও। আপনার বিপাক হার কেমন হবে, সেটি নির্ভর করবে সারাদিন খাওয়ার পরিমাণ ও সময়ের ব্যবধানের উপর। বিজ্ঞানীদের এই ‘ক্রোনো-নিউট্রিশন’ মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও সাহায্য করে।
২০১৩ সালে দু’টি গবেষণায় বলা হয় যে, দিনের শুরুতে বেশি ক্যালোরি ও সন্ধ্যায় কম ক্যালোরি খাওয়া মানুষের ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। তবে এবার নতুন এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, সকাল ও রাতের খাবারের অসম বণ্টন বিপাক হার ও ওজন হ্রাসের উপর কোন রকম প্রভাবই ফেলে না।
সকাল ও রাতের খাবারের পরিমাণ এবং খিদের সঙ্গে ওজনের আদৌ কোনও প্রভাব রয়েছে কি না, তা সন্ধান করতে বিশ্বের দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সুস্থ তবে অতিরিক্ত ওজনের লোকদের উপর একটি নিয়ন্ত্রিত সমীক্ষা করেন। অংশগ্রহণকারীদের দু’ধরনের খাবার খাওয়ানো হয়। প্রথমটি বেশি পরিমাণে সকাল ও অল্প পরিমাণ নৈশভোজ। দ্বিতীয়টিতে ছিল রাতের খাবারের পরিমাণ বেশি। সকালের নাস্তা হতো হালকা। দু’টি ক্ষেত্রেই একই রকম খাবার, ঘড়ি ধরে একই সময় দেওয়া হলেও ওজনের ক্ষেত্রে তেমন কোনো রকম প্রভাব পড়েনি।
কিন্তু গবেষকরা এ কথা স্বীকার করেছেন যে, এক টানা ৬’সপ্তাহ ধরে চলা এই গবেষণার পর দেখা গেছে, খাবারের পরিমাণ বিশেষ কোনও রকম প্রভাব ফেলছে না। বরং খাবার খাওয়ার সময়, বিপাক হারের উপরই বেশি প্রভাব ফেলে। যে কারণে ওজনও নিয়ন্ত্রিত হয়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।