দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খাওয়া-দাওয়ায় গলদ থাকলে বহু চেষ্টাতেও কমতে চায় না ওজন। সব কিছুর পদ্ধতিগত কিছু নিয়মও থাকে। সেগুলো সঠিকভাবে মেনে চলা দরকার।
এটি ঠিক ওজন কমাতে ও শরীর সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। ওজন কমিয়ে যারা রোগা হতে চাইছেন, তাদের জন্য এই শব্দটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কী খাচ্ছেন, কেনো খাচ্ছেন, রোগা হওয়ার পর্বে এই বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা অবশ্যই জরুরি। নয়তো অযথা সময় নষ্ট ছাড়া কিছুই হবে না। ডায়েট করার অর্থই উপোস করে থাকা নয়। নিয়ম মেনে করতে হবে খাওয়া-দাওয়া। প্রতিদিন পাতে রাখতে হবে সুষম এবং স্বাস্থ্যকর খাবার। তবে অনেক সময় দেখা যায় যে, কঠোর নিয়ম মানার পরও কমছে না ওজন। আসলে এমন ক্ষেত্রে গলদ থেকে যাচ্ছে খাওয়া-দাওয়ায়। আপনার হয়তো মনে হচ্ছে আপনি নিয়ম মেনেই খাওয়া-দাওয়া করছেন। তবে আপনার ধারণা সব সময় সত্যি নাও হতে পারে। খাওয়া-দাওয়ায় গলদ থাকলে তখন চেষ্টা করেও কমতে চায় না ওজন। সব কিছুরই কিন্তু পদ্ধতিগত কিছু নিয়ম থাকে। সেগুলো সঠিকভাবে মেনে চলাটা প্রয়োজন। খাওয়া-দাওয়ার কোন ভুলে চেষ্টা করেও ওজন না কমার আশঙ্কা থাকতে পারে?
বেশি পরিমাণে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
ওজন কমাতে ও শরীর সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কোনওই বিকল্প নেই। রোগা হতে চাইলে উপোস করে না থেকে বরং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার দিকেই জোর দেওয়া দরকার। তবে সেটি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অনুযায়ী। মাত্রাতিরিক্ত কোনও কিছুই কিন্তু ভালো নয়। তিন বেলা যদি স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে থাকেন তাহলে লাভের লাভ কিছুই হবে না। কোন সময় কোনগুলো খাবেন তার একটি রুটিন বানিয়ে নিতে পারে। পুষ্টিবিদের থেকে জেনে নিতে পারেন কোন খাবারগুলো খুব বেশি উপকারী। সেগুলোই আপনাকে বেশি করে খেতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন না খাওয়া
এটি ঠিক যে প্রোটিন শরীরের একটি অপরিহার্য উপাদান। তবে অনেকেরই ধারণা- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে ওজন কমার চেয়ে আরও বেড়ে যেতে পারে। এই ভাবনা কিন্তু মোটেও ঠিক নয় বলেই জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। প্রোটিনের ঘাটতি ওজন উল্টো আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন খাওয়া দরকার।
রান্নায় বেশি তেলের ব্যবহার নয়
ওজন কমাতে চাইছেন অথচ রান্না করার সময় কড়াইয়ে বেশি করে তেল ঢালছেন- এমন করলে কী আদৌ রোগা হওয়া সম্ভব? পুষ্টিবিদরা মনে করেন, ওজন কমানোর প্রথম মানদণ্ডই হলো তেল-মশলা কম খাওয়া। এই বিষয়ে প্রথমেই রাশ টানা দরকার। সব্জি রান্না করছেন তবে তাতে তেলের পরিমাণ বেশি- এমনটি মোটেও করা যাবে না। প্রয়োজন হলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ হলো অলিভ অয়েল স্বাস্থ্যকর। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।