দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোথায় যেনো শুনেছেন, খাবার খাওয়ার পর গরম পানীয় খেলে নাকি খাবার খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়। তাই বলে খাবার খাওয়ার পর কখনও চা, কফি খাবেন না। এই রকম অনেক ভুল আমরা করে থাকি, যা আমাদের অজান্তেই শরীরের ক্ষতি করে বসে।
কোনো অকেশনের সময় এমনিতেই বাঁধা ধরা নিয়মে চলতে ভালো লাগে না। তাই যাবতীয় ডায়েট সবই জলাঞ্জলি যায়। তার উপর এই সময় এতো খাওয়া দাওয়া হয় যে, আয়নায় নিজের উদর দেখে নিজের চোখ কপালে উঠে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। তাই যখনই সময় পাচ্ছেন তখনই হাতের কাজ গুছিয়ে শরীরচর্চায় ব্যস্ত হচ্ছেন। শরীরচর্চা করার পর এতো গরম লাগছে যে, ঘেমে নেয়ে একেবারে যাচ্ছেতাই অবস্থা। সোজা গায়ে পানি ঢেলে ফেললেন। অথচ কিছুক্ষণ আগেই পেট ভরে আপনি খাবারও খেয়েছেন, সে কথা আপনার মাথায় নেই। এই রকম ছোট ছোট অনেক ভুল আমরা করে থাকি হরহামেশায়, যা আমাদের অজান্তেই শরীরের ক্ষতি করে ফেলে।
শরীরের ভালো চেয়ে করতে যাওয়া এমন কী কী অভ্যাস আদতেই শরীরের আরও ক্ষতি করে?
# যেমন খাওয়ার পর পাকস্থলীর আশপাশে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। এই সময় দেহের তাপমাত্রাও অনেক বেশি থাকে। তাই খাওয়ার পর পরই স্নান করলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
# খুব বেশি খাওয়া হয়ে গেছে বলে, হঠাৎ করেই শরীরচর্চা করতে শুরু করে দিলে হিতে বিপরীতও হতে পারে। খাওয়ার পর হালকা হাঁটাহাটি করতে পারেন তবে ভারী ব্যায়াম একেবারেই নয়।
# দুপুরের ভাত ঘুম আপনার যতোই প্রিয় হোক না কেনো, এই অভ্যাস আপনার জীবনে বিপদ ডেকে আনতে পারে।
# খাবার খাওয়ার পর সামনের দিকে ঝুঁকে কোনও কাজ কখনও করবেন না। খাবার হজম না হওয়ার অনেকগুলো কারণের মধ্যে এটিও একটি প্রধান কারণ।
# কোথায় যেনো আপনি একদিন শুনেছিলেন, খাবার খাওয়ার পর গরম পানীয় খেলে নাকি খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়। তাই বলে খাবার খাওয়ার পর কখনও চা, কফি খাবেন না। এই ধরনের পানীয়তে রয়েছে ফেনলিক নামক এক ধরনের যৌগ। যা খাবার হতে পুষ্টি শোষণ করতে বাধা দেয়।
# অনেকেই বলে থাকেন, ভরা পেটে ফল খাওয়া বেশ উপকারী। তবে যাদের প্রায় সময় পেটের সমস্যা থাকে তাদের জন্য এই অভ্যাস মোটেও ভালো নয়। বিশেষ করে যাদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে, তারা প্রাতঃরাশের পরই ফল খান।
# এমন অনেকেই আছেন যাদের খাওয়ার পর এক গেলাস পানি না খেলে ঠিক তৃপ্তিই হয় না! অনেকেরই আবার খেতে খেতে পানি খাবার অভ্যাসও রয়েছে। এই দুই অভ্যাসই আপনার জন্য কিন্তু ক্ষতিকারক। অন্ততপক্ষে খাওয়ার এক ঘণ্টা পর পানি খেতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।