দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাতে খাবার টেবিলে বসে আপনি ঢেকুর তুললে কিংবা পায়ুপথে বায়ু নিঃসরণ করলে আপনি লজ্জায় পড়তে পারেন। তবে নিউজিল্যান্ডে আপনি যদি গরু বা ভেড়ার মালিক হয়ে থাকেন তাহলে আপনার গরুর ঢেকুর এবং পায়ুপথে বায়ু নিঃসরণের জন্য আপনাকে কর দিতে হবে।
এমনই এক পদক্ষেপ নিতে চলেছে দেশটির সরকার। খবর সিএনএনের। সম্প্রতি দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, তার সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে গবাদিপশুর নির্গমনের জন্য মালিক কৃষকদের ওপরেও কর আরোপের প্রস্তাবটি সামনে এগিয়ে নেবে।
জেসিন্ডা আরও বলেন, এটি নিউজিল্যান্ডের একটি কম নির্গমনের ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ২০২৫ সাল হতে কৃষি খাতের নির্গমনের ওপর মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে তার সরকারের অঙ্গীকারেরই অংশ।
সিএনএন এক রিপোর্টে বলছে, বিশ্বের প্রধান পশুসম্পদ এবং মাংস রপ্তানিকারক দেশ হচ্ছে নিউজিল্যান্ড। দেশটিতে প্রায় এক কোটি ‘গরু’ ও দুই কোটি ৬০ লাখ ভেড়া রয়েছে। গবাদিপশুর প্রাকৃতিক নির্গমন থেকে উৎপাদিত গ্রিনহাউস গ্যাস দেশটির সবচেয়ে বড় পরিবেশগত সমস্যাগুলোর একটি।
দেশটির সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী জানা যায়, কৃষকদের গবাদিপশু হতে নির্গত গ্যাসের জন্যও কর দিতে হবে। যার মধ্যে রয়েছে গবাদিপশুর মূত্র থেকে আসা নাইট্রাস অক্সাইড ও গরুর ঢেকুর এবং পায়ুপথ থেকে নির্গত বায়ু থেকে আসা মিথেন গ্যাসও!
নতুন এই পদক্ষেপের মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডের কৃষি খাতের নির্গমন কমাতে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে নিউজিল্যান্ডের রপ্তানি ‘ব্র্যান্ড’ বৃদ্ধির মাধ্যমে পণ্যকে আরও টেকসই করে তুলবে বলে জানিয়েয়েছেন জেসিন্ডা আরডার্ন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের কোনো দেশেই এ পর্যন্ত কৃষিখাতে নির্গমন হ্রাস এবং মূল্য নির্ধারণের জন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তাই আমাদের দেশের কৃষকরা প্রথম এই পদক্ষেপে লাভবান হতে চলেছেন।
দেশটির সরকারের পক্ষ হতে বলা হয়, নতুন এই পদক্ষেপ থেকে পাওয়া অর্থের পুরোটাই হলো দেশটির গবেষণা, নতুন প্রযুক্তি এবং জলবায়ুবান্ধব কৌশল গ্রহণকারী কৃষকদের জন্যই ভর্তুকিতে ব্যয় করার কথা বলা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।