দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সুগন্ধি ব্যবহার করার সময় আপনার কোনও ভুল-ভ্রান্তি হচ্ছে কি না, সেটি জানা জরুরি! কেবল গন্ধ দীর্ঘক্ষণ টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রেই নয়, ডিয়ো বা পারফিউমের ভুল ব্যবহার শরীরের উপরেও ফেলতে পারে মারাত্মক প্রভাব।
শখ করে দোকান থেকে দামি সুগন্ধি কিনে আনলেন। সেজেগুজে সুগন্ধি লাগিয়ে হয়তো বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে গেলেন। গন্তব্যে পৌঁছানোর পূর্বেই গন্ধ মিলিয়ে গেলো। তাতে মনটা খারাপ হয়ে যাওয়ার কথা। নামী-দামি সংস্থার সুগন্ধির ক্ষেত্রেও হয় একই হাল! তবে এটি ব্যবহার করার সময় আপনার ভুল-ভ্রান্তি হচ্ছে কি না, সেটিও জানা জরুরি। কেবলমাত্র গন্ধ দীর্ঘক্ষণ টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে নয়, ডিয়োডোরেন্ট বা পারফিউমের ভুল ব্যবহারের কারণেও শরীরের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
অনেকেই সরাসরি ত্বকে সুগন্ধি লাগিয়ে থাকেন। এই অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। পারফিউম কিংবা ডিয়োতে মূলত থাকে সুগন্ধি তেল ও অ্যালকোহলের মিশ্রণ। বেশ কিছু সুগন্ধিতে নানা প্রকার রাসায়নিকও ব্যবহার করে থাকে। যে কারণে এতে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হবে পারে। এইসব রাসায়নিক ত্বকে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এতে অ্যালার্জির আশঙ্কাও থেকে যায়। তাছাড়া ডিয়োতে থাকা নিউরোটক্সিনগুলো স্নায়ুতন্ত্রকেও প্রভাবিত করতে পারে।
ডিয়োডোরেন্ট সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করলে কী কী ক্ষতি হতে পারে?
# ডিয়োডোরেন্টে থাকা অ্যালকোহল সাধারণত ত্বকের আর্দ্রতা শোষণ করে নেয়। যে কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। কখনও কখনও ডিয়োতে থাকা নিউরোটক্সিনগুলো আবার স্নায়ুতন্ত্রকেও প্রভাবিত করতে পারে।
# এই অভ্যাসের কারণে ত্বকে ঘা’ও হতে পারে। ত্বকের যে জায়গায় ডিয়োডোরেন্ট ব্যবহার করছেন, সেখানে ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়াও জন্মাতে পারে। এগুলোতে উপস্থিত কিছুটা রাসায়নিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সুগন্ধিতে ব্যবহৃত অনেক রাসায়নিক ত্বকে ক্যান্সারের আশঙ্কাও বাড়ে। তাই যে কোনও সুগন্ধি ব্যবহারের পূর্বে তার উপকরণগুলো যাচাই করে নেওয়াই ভালো।
আপনি চেষ্টা করুন জামাকাপড়ে ডিয়ো ব্যবহার করার। যদি একান্তই ত্বকে ব্যবহার করতেই হয়, সে ক্ষেত্রে এটি সরাসরি ত্বকে প্রয়োগের পূর্বে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। তার উপর ডিয়ো লাগান।
# অনেক সুগন্ধিতেই প্যাথালেটস, স্টিরিন, গ্যালাক্সোলাইড, গ্লাইকোল নামক যৌগ থাকে। এইসব যৌগ বেশি মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতিও হতে পারে। অনেকের আবার এর থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। তাই এই বিষয়গুলোতে সাবধান হতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।