দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটু একটু করে ঠাণ্ডা পড়তে শুরু করে, তাই খাওয়া-দাওয়ার পরিমাণ একটু বেশি হলেও বাইরে থেকে তেমন কোনও অস্বস্তিই হয় না। যখন বুঝতে পারেন তখন অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। আজ জেনে নিন কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখবেন যেভাবে।
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো না থাকলে ঋতু পরিবর্তনের প্রভাবে শরীরে নানা রকম পরিবর্তন ঘটে থাকে। ঘরে ঘরে এই সময় সর্দিকাশি বা জ্বরের মতো নানা ধরনের উপসর্গ দেখা যায়। সেইসঙ্গে চুপিসারে বাড়তে থাকে হৃদযন্ত্রের জটিলতা।
একটু একটু করে ঠাণ্ডা পড়তে শুরু করেছে, তাই খাওয়া-দাওয়ার পরিমাণ একটু বেশি হলেও বাইরে থেকে তেমন কোনও অস্বস্তিই হয় না। এই অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া-দাওয়ার প্রভাবেই রক্তে থাকা কোলেস্টেরলের মাত্রা তখন বৃদ্ধি পেতে থাকে।
রক্তে থাকা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করলে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, সেটি প্রায় সকলেই জানেন। রক্তে থাকা ওই চটচটে পদার্থটি যে একেবারেই খারাপ, তা কিন্তু নয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে সাধারণত দু’ধরনের কোলেস্টেরল থাকে, ‘গুড কোলেস্টেরল’ ও ‘ব্যাড কোলেস্টেরল’।
অনেকেই মনে করেন, চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খেলেই কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। সব ক্ষেত্রে এই ধারণাটি ঠিক নয়। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে কি-না, তা নির্ভর করে মূলত প্রত্যেকের শরীরের বিপাক হারের উপর। কারও যদি ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণই হলো কোলেস্টেরল। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার।
চিকিৎসকরা মনে করেন, রক্তে উচ্চমাত্রায় ‘এলডিএল’ থাকা ‘এলডিএল’ কিংবা ‘লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ মাত্রা ১০০-র কম থাকলে, মনে করা হয় সেটিই স্বাভাবিক। তবে ১৩০-এর বেশি হলে হৃদয়ের সঙ্গে যুক্ত প্রধান রক্তবাহীকাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে কারণে হৃদরোগ সংক্রান্ত যে কোনও রোগের আশঙ্কা অনেক গুণ বৃদ্ধি পায়।
প্রতিদিন কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধের উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও খাদ্য তালিকায় কিছু পরিবর্তন আনলে কোলেস্টেরলকে বশে রাখা যাবে।
প্রতিদিনের রুটিনে কী কী যোগ করলে বিপাক হারে উন্নতি ঘটবে এবং ‘ব্যাড’ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে
# প্রতিদিন পাতে রাখতে হবে সহজপাচ্য ফাইবার জাতীয় কিছু খাদ্য সামগ্রী। নাসপাতি, আপেল, ওটমিল ও বিনসে থাকা ফাইবার, রক্তে অতিরিক্ত চর্বি শোষণ করতে বাধা দেয়।
# যেহেতু স্যাচুরেটেড ফ্যাট মানব শরীরে রক্তে থাকা ‘ব্যাড’ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে, তাই এর পরিবর্তে পাতে রাখুন পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। যেমন- বাদাম, নানা ধরনের বীজ, সামুদ্রিক মাছও খেতে পারেন।
# কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের সরাসরি কোনও ভূমিকা না থাকলেও হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
# অবশ্যই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আবার প্রতিদিন অন্ততপক্ষে আধাঘণ্টা শরীরচর্চা করলে ‘গুড’ কোলেস্টেরলের মাত্রা তখন বাড়ে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।