দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের দৈনিক ১০ থেকে ২০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন শরীরে যাওয়াটা প্রয়োজন। তবে খাবারের উপর ভরসা না করে অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খেতে শুরু করেন।
মানুষের ত্বক রোদের সংস্পর্শে এলেই শরীরের অভ্যন্তরেই উৎপন্ন হয় ভিটামিন ডি। শরীরের জন্য অপরিহার্য এই ভিটামিন যদি সঠিক মাত্রায় থাকে, তাহলে শরীর থেকে ক্যালশিয়াম এবং ফসফরাস শোষণ করতেও সাহায্য করে। এছাড়াও ভিটামিন ডি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে বিভিন্ন সংক্রমণ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তাছাড়াও দেহে ক্যালসিয়ামের বিপাক নিয়ন্ত্রণ করতে ভিটামিন-ডি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যে কারণে হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন-ডি অত্যন্ত জরুরি।
ভিটামিন-ডি’র অভাবে শরীরে অস্টিওপোরোসিসের মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, খাবারের মধ্যেদিয়ে পরিমিত ভিটামিন ডি না পাওয়া গেলে, কেবলমাত্র তখন ওষুধের উপর নির্ভর করতে হবে। তার আগে কিন্তু নয়।
জেনে নিন কোন কোন খাদ্যে ভিটামিন ডি রয়েছে:
মাশরুম
সাধারণত মাশরুমে ফ্যাটের পরিমাণ খুব কম থাকে। এটি উচ্চ পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ। মাশরুমেও থাকে ভালো মাত্রায় ভিটামিন ডি।
দুধ-দই-ছানা
দুগ্ধজাত খাবারগুলোতে ভালো মাত্রায় ভিটামিন ডি থাকে। তাই হাড় মজবুত করতে এবং শরীরকে চাঙ্গা রাখতে প্রতিদিন ডায়েটে দুধ, দই, ছানা, ছাঁচ, চিজ এগুলো রাখতে পারেন।
সামুদ্রিক মাছ
স্যামন এবং টুনা মাছ ভিটামিন ডি-র ভালো একটি উৎস। এই মাছ প্রতিদিনের ডায়েটে রাখলে ক্যালশিয়াম এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতি মিটে যাবে। হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এই মাছ আপনাকে খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে।
ওট্স
যে কোনও দানাশস্যতে থাকে যথেষ্ট ভিটামিন ডি। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে ওট্স রাখতে পারেন। সকালে উঠেই দুধ-ওট্স খেতে পারেন। এতে কাঠবাদাম, খেজুর, আখরোট দিতে পারলে ভালো হয়। শুকনো ফলও ভিটামিন ডি-র একটি উৎস। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।