দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মহিলাদের শার্টের বোতাম বাম দিকে কেনো হয়? তা কী কখনও ভেবে দেখেছেন আপনি? এর আসল কারণ শুনলে আপনি নিজেও চমকে উঠবেন!
মেয়েদের জামার বোতাম সবসময় বাঁদিকেই রাখা হয়- এই অভিযোগ মহিলাদের মধ্য়ে থাকেই যে, কেনো মেয়েদের জামার বোতাম বামদিকে রাখা হয়েছে? এতে করে শার্ট পরতে বেশ অসুবিধা হয়। জেনে নিন এর কারণ।
অফিসে যাওয়ার সময় কিংবা কখনও ক্যাজুয়াল আউটিংয়ে আপনি প্রায় সময়ই নিশ্চয়ই শার্ট পরেন? তাই এই আউটফিট সংখ্যায় কম হলেও প্রায় সময় আমাদের সবার সংগ্রহেই কয়েকটি রয়েছে। আলমারি খুললেই নানা রঙের ফর্মাল শার্ট এবং ইনফর্মাল ক্যাজুয়াল শার্ট পাওয়া যাবে। এই শীতে মহিলারা লেয়ারড ফ্যাশন করার জন্য শার্টই বেছে নেন। ক্রপ টপের উপরে শার্ট পরতে পারেন। আবার অফিসে প্রায় প্রতিদিনই অনেককেই শার্ট পরে যেতে হয়।
তাই যখন আপনি শার্ট পরেন তখন এরকম মনে হয় যে, কেনো শার্টের বোতামটি উলটো দিকে লাগানো হয়েছে? ডানদিকের বদলে কেনো বামদিকে লাগানো থাকে শার্টের বোতাম? পুরুষদের শার্টের বোতাম তবে ডানদিকেই লাগানো থাকে? তাহলে কেনো মহিলাদের শার্টের বোতাম থাকে বামদিকে, একা একা পরতে অসুবিধা হলেও কেনো তা পরিবর্তন করা হয় না তা কী আপনি জানেন? আপনি কী কখনও ভেবে দেখেছেন? আসলে এর পিছনে রয়েছে অনেকগুলো কারণ!
উলটো দিকে বোতাম হওয়ায় শার্ট পরতে অনেক সময়ই দেরি হয়ে যায়। তখন রাগের মাথায় অনেক মহিলাই বলে বসেন, কেনো যে উলটো দিকে বোতাম লাগানো থাকে- কে জানে? আসলে কী কী কারণ রয়েছে এই শার্ট বোতামের পিছনে আজ জেনে নিন।
এই কারণেও বোতাম বামদিকে রাখা হয়
এর কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে নানা সময় নানা তত্ত্বের কথায় বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। একটি তত্ত্বে এই রকম উল্লেখও পাওয়া যায় যে, মহিলারা শিশুদের বাম হাতে ধরেন। সদ্যজাত শিশুদের বাম হাতে ধরেই নাকি কোলের মধ্য়ে রাখেন।
ডান হাত দিয়ে যাতে করে তারা অন্য়ান্য কাজও করতে পারেন। এই সময় শিশুকে স্তন্যপান করানোর প্রয়োজন পড়ে। শার্ট পরে থাকলে যদি তার বোতাম বামদিকেই থাকে, তবে উলটো হাত দিয়ে তারা খুব সহজেই বোতাম খুলে ফেলতে পারেন। এই কথা মাথায় রেখেই নাকি শার্টের বোতাম বাম দিকে রাখা হয়েছে!
তবে প্রাচীন যুগে কী হতো?
যদিও স্বনির্ভর হওয়াটাই ভালো। নিজে নিজেই পোশাক পরা উচিত। তবে সেই সময় পশ্চিমা দুনিয়ায় উচ্চবিত্ত মহিলাদের ঘরে তাদের সাজিয়ে দেওয়ার জন্য এবং পোশাক পরানোর জন্যেও কাজের লোক নিয়োগ করা থাকতো। তাই মহিলারা কখনওই নিজে নিজে জামাকাপড় পরতেনই না।
এটি জনপ্রিয় একটি কারণও, যে জন্য মহিলাদের শার্টের বাঁ দিকেই থাকে। কারণ পরিচারিকাদের এভাবেই পোশাক পরাতে সুবিধা হতো। তারা ডান হাত দিয়ে চটজলদিই বোতাম আটকে দিতে পারতেন। বাঁ দিকে হলে তা অসুবিধার কারণও হতো।
এই কারণটি সবথেকে অবাক করার মতো
এই কথা প্রচলিত রয়েছে যে, ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়নের বিখ্যাত পোজও এর জন্যই নাকি দায়ী। কীভাবে? নেপলিয়নের একটি পোজে দেখা যায় যে, তিনি নাকি ওয়েস্টকোটের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে রাখতেন। এটি নাকি তার ডিগনিটি বোঝাতো। যার জন্য অনেক ফরাসি মহিলা নেপলিয়নকে নিয়ে হাসাহাসিও করতেন।
তার অনেক সমালোচনাও করতেন। সেজন্য় নেপোলিয়ন মহিলাদের জন্য শার্ট অর্ডার করেন। এই শার্টের বোতাম ছিল পুরুষদের শার্টের বোতামের ঠিক উলটো দিকে। আর এভাবেই পোশাক পরতে হতো মহিলাদের। যাতে তারা আর হাসাহাসি কিংবা কটাক্ষ না করতে পারেন।
একটা উপায় রয়েছে!
এরকম নানা তত্ত্বের উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে এই নিয়মের পরিবর্তন করার কথা কেও কী কখনও ভেবেছেন? কোনও বিশেষ ক্লোদিং ব্র্যান্ড কী দায়িত্ব নিয়েই মহিলাদের শার্টের বোতাম বামদিকের বদলে ডান দিকে করার চেষ্টা করেছে কখনও? এরকম কোনও তথ্য অবশ্য সরাসরি পাওয়া যায়নি।
তবে এর একটি সমাধান হিসেবে বলা যায়, আপনার যদি সত্যিই এরকমভাবে শার্ট পরতে অসুবিধা হয়েই থাকে, তবে আপনি টেলরের সাহায্য নিজের শার্টটি বানিয়ে নিতে পারেন। তাহলে আপনি শার্টের বোতাম ডানদিকেও রাখতে পারবেন। তাহলে শার্ট পরতে আর কোনো অসুবিধা হবে না! তথ্যসূত্র: এই সময়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।