দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেক সময় নিজের অজান্তেই রোগবালাই ডেকে আনি। সকালের কোন কোন অভ্যাস অবিলম্বে বদলানো দরকার।
অনেক সময় দেখা যায় সকালে অ্যালার্ম দিয়ে রেখেছেন। কিন্তু অ্যালার্ম বাজার পর আবারও ঘুমিয়ে পড়েন। এভাবে বার বার করলে কী ক্ষতি হতে পারে তা কী আপনি জানেন?
অ্যালার্ম দিয়েও অনেক সময়ই ঘুম ভাঙতে চায় না। বেশ কিছু দিন এমন চলার পর দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসা করলে দেখা যাবে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস নেই। অথচ জোর করে ঘুম থেকে ওঠার কারণেই এমনটি হচ্ছে।
অনেকের এমন কিছু অভ্যাস রয়েছে, যা দিনের পর দিন চলতে থাকলে শরীরের বারোটা বাজবে তাতে সন্দেহ নেই। কখনও জেনে-বুঝে বা কখনও না বুঝেই আমরা রোগবালাই ডেকে আনছি। সকালের কোন কোন অভ্যাস অবিলম্বে বদলানো আপনার জন্য জরুরি তা আজ জেনে নিন।
রাতে অ্যালার্ম লাগিয়ে শোওয়ার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে! যে কারণে ঘুম ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে একটার পর একটা অ্যালার্ম বন্ধ করতে হয় তাদের। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যদি কেও জোর করে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করেন, তাহলে তার প্রভাব পড়ে ‘সার্কেডিয়ান ক্লক’, অর্থাৎ শরীরবৃত্তীয় ঘড়িতে। ঘুমের একটি নির্দিষ্ট চক্রও রয়েছে। এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। রাত করে ঘুমিয়ে অনেকেই সকাল সকাল উঠে পড়েন। সে ক্ষেত্রে ঘুমের চক্র অসম্পূর্ণই থেকে যায়। এতে করে শরীরের কার্যক্ষমতাও অনেকটা কমে যায়। তাই এক বারের বেশি অ্যালার্ম ব্যবহার করবেন না।
আকার অনেকেরই ঘুম থেকে উঠে অগোছালো বিছানা রেখেই অন্য কাজে লেগে পড়েন। নানা গবেষণায় দেখা গেছে যে, সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের বিছানা নিজে পরিষ্কার করলে সারা দিন চনমনে থাকা যাবে। এতে কর্মদক্ষতাও বাড়বে। নইলে সারাদিনই অলস্য লেগে থাকবে।
সকালে ঘুম ভাঙার পর কফিতে চুমুক না দিয়ে দিন শুরু হয় না অনেকেরই। ঘুম থেকে উঠলে এমনিতেই শরীরে কর্টিসোল হরমোন উৎপাদনের হার বেড়ে গিয়ে থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, খালি পেটে একটু বেশি মাত্রায় কফি খেলে কর্টিসোলের ক্ষরণ আরও অনেক বেশি বেড়ে যায়। মানসিক চাপ কিংবা ‘স্ট্রেস’-এর অত্যতম কারণই হলো এই হরমোনটি। যে কারণে ঘুম ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে ২-৩ কাপ কফি খেয়ে নিলে মন ভালো হওয়ার পরিবর্তে মানসিক চাপ আরও বেড়ে যাবে। শরীরে স্বাভাবিক মাত্রায় কর্টিসোলে ক্ষরণ বিপাকহার, রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তবে অত্যধিক মাত্রায় এর ক্ষরণ হাড়ের ক্ষতিও করে, উচ্চ রক্তচাপ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, এমনকি, হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।