দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেরই এমন সমস্যায় পড়তে হয়। প্রতিদিন ফোনে অ্যালার্ম সেট করে তবেই ঘুমোতে যান। অথচ সেই অ্যালার্ম বেজে বেজে এক সময় বন্ধ হয়ে যায়। শেষে বাধ্য হয়েই শরীরটাকে টেনে-হিঁচড়ে বিছানা ছাড়তে বাধ্য করতে হয়।
রাত জাগার অভ্যাস থাকলেও অনেকের মধ্যেই সকালে বিছানা ছেড়ে উঠতে অনীহা থাকেই। অথচ অফিস যাওয়ার চিন্তা মাথা থেকে একেবারেই সরিয়ে ফেলা যায় না। বাড়ির লোকজনের ডাকে প্রতিবেশীরা উঠে পড়লেও আপনার কিন্তু ঘুম ভাঙতেই চায় না। প্রতিদিন ফোনে অ্যালার্ম সেট করেই ঘুমোতে যান। অথচ সেই অ্যালার্ম বেজে বেজে বন্ধ হয়ে যায়। শেষে বাধ্য হয়েই শরীরটাকে টেনে-হিঁচড়ে বিছানা ছাড়তে বাধ্য করতে হয় অনেককেই। এই বিষয়ে চিকিৎসকরা বলেছেন, এমন অভ্যাস চলতে থাকলে সেটি শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। শারীরবৃত্তীয় নানা কাজের উপর এর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সকালে অ্যালার্ম বাজার সঙ্গে সঙ্গেই যাতে করে আপনার ঘুম ভেঙে যায়, সেজন্য কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
একাধিক বার অ্যালার্ম সেট করবেন না
রাতে শোয়ার পূর্বে ফোনে একটার পর একটা অ্যালার্ম ‘স্নুজ়’ করে রাখার অভ্যাস অনেকের মধ্যেই রয়েছে। যে কারণে ঘুম ভাঙলে একের পর এক অ্যালার্ম বন্ধ করতে হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যদি কেও জোর করে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করে থাকেন, সেই ক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়ে ‘সার্কাডিয়ান ক্লক’, অর্থাৎ- শারীরবৃত্তীয় ঘড়িতে। ঘুমের একটি নির্দিষ্ট চক্রও রয়েছে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোনো প্রয়োজন। রাত করে ঘুমিয়ে অনেকেই সকাল সকাল ওঠে পড়েন। যে কারণে ঘুমের চক্র অসম্পূর্ণই থেকে যায়। এতে করে শরীরের কার্যক্ষমতা অনেকটা কমে যায়। তাই এক বারের বেশি অ্যালার্ম কখনও দেওয়া যাবে না।
হাতের কাছে ফোন রাখবেন না
ফোনে অ্যালার্ম সেট করে অনেকেই মাথার বালিশের নীচেই রেখে দেন। সকালে অ্যালার্ম বাজার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চোখ চলে যায় ফোনের দিকেই। অ্যালার্ম বন্ধ করে ঘুম চোখেই সমাজমাধ্যমে উঁকিঝুঁকি দেওয়ার অভ্যাসও যে ভাল নয়, তাও জানেন অনেকেই। তবে সেই অভ্যাস থেকে বিরত থাকতে পারেন না অনেকেই। চিকিৎসকরা বলেছেন, ঘুমের সময় ফোন হাতে কাছে না রাখাই ভালো। সম্ভব হলে ফোন বন্ধ করে রাখুন।
ঘড়ি ব্যবহার করা
অ্যালার্ম যদি দিতে হয়ই, সেজন্য বাজারে নানা রকম ঘড়ি পাওয়া যায়। প্রয়োজন হলে তেমন একটি ঘড়ি কিনে নিন। ফোনের অ্যালার্ম বন্ধ করতে গিয়ে বার বার অন্য কিছুতে মন গেলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটবে তাতে সন্দেহ নেই। সময়ও নষ্ট হবে অযথা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।