দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি বাজার থেকে ডাব কিনে এনে দেখেন পানি খুবই কম। অর্থাৎ আপনি ঠকে গেছেন। কারণ কোন ডাবে পানির পরিমাণ বেশি ও কোনটিতে ঘন শাঁস থাকে, তা বোঝা প্রায় মুশকিল। তবে সেটি বোঝার উপায়ও রয়েছে। পানিভর্তি ডাব তাহলে কীভাবে চিনবেন?
বর্তমান সময়ে আবহাওয়ার কারণে কড়া রোদ মাথায় নিয়ে রাস্তায় বেরোলেই একেবারে যেনো ঝলসে যাচ্ছে শরীর। সাময়িক স্বস্তি পেতে তাই অনেকেই ভরসা করেন ঠাণ্ডা কোমল পানীয়ের উপর। চিকিৎসকরা মনে করেন, এই ধরনের পানীয় শরীরের পক্ষে মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। তার চেয়ে ডাবের পানি খেলে বেশি সুস্থ থাকবে শরীর। রাস্তাঘাটে যত্রতত্র ডাবের পানি বিক্রি হয়ে থাকে। সোডা বা এই ধরনের পানীয়ের পরিবর্তে ডাবের পানি খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তবে ডাব কিনে ঠকে যেতে হয় অনেক সময়। কারণ কোন ডাবে পানির পরিমাণ বেশি ও কোনটিতে ঘন শাঁস থাকে, তা বোঝা প্রায় মুশকিল। তবে বোঝার উপায় রয়েছে। তাহলে পানিভর্তি ডাব কীভাবে চিনবেন? আজ বিষয়টি জেনে নিন।
অনেকেই ভাবেন যে, ডাবের আকার অনুযায়ী বুঝি পানির পরিমাণ কম-বেশি হয়? তবে মনে রাখবেন সব সময় এমনটি ঠিক নাও হতে পারে। তাই মাঝারি আকারের ডাব বেছে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এছাড়াও কেনার আগে ভালো করে ঝাঁকিয়ে দেখে নেওয়া উচিত।
অনেক সময় ডাবের রং দেখেও ধারণা করা যায়, ডাবে কতোটা পানি আছে ডাবে। রং ধূসর হয়ে গেলে বা ডাবের গায়ে বাদামি দাগ থাকলে ওই ডাব এড়িয়ে চলাই ভালো। বাদামি কিংবা হলুদ ছোপ থাকলে সেই ডাবে কম থাকতে পারে পানি। অনেকেই আবার বলেন যে, গোল ডাবে পানি বেশি থাকে। তবে এই দাবি কতোটা ঠিক, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশও রয়েছে। সেইসঙ্গে এমন ধারণা প্রচলিত রয়েছে যে, ডাব বড় মানেই তাতে পানি বেশি। এই ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত ধারণা। বড় ডাবেই পানি সবচেয়ে কম থাকে। কারণ ডাব যতো বড় হয়, ভিতরে শাঁসের পরিমাণ ততোই বাড়তে থাকে।
ডাবের পানির উপকারী উপাদানের কোনো শেষ নেই। এতে থাকে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো নানা রকম খনিজ পদার্থ। অতিরিক্ত পরিশ্রমের পর দেহ থেকে পানি এবং খনিজ লবণ বেরিয়ে গেলে, ক্লান্ত শরীরকে চাঙ্গা করতে অত্যন্ত কার্যকর পানীয় হলো এই ডাবের পানি। এছাড়াও ডাবের পানিতে বিশেষ ফ্যাট নেই। যে কারণে ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনও চিন্তাও নেই। বিশেষ করে যারা ওজন নিয়ে সচেতন, তারা এই পানীয় নিশ্চিন্তেই খেতে পারেন। তবে কিডনি এবং রক্তচাপের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ডাবের পানি খাওয়া যাবে না। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।