দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক সময় পুষ্টির অভাবেও যে কারও হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে।পুষ্টিবিদদের মতে, খাদ্যাভ্যাসে সামান্য বদল করলে এই রোগের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব। তাহলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে হলে আপনি কী খাবেন?
আপনার চেহারা ক্রমেই ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে? খাবার দেখলেও খেতে ইচ্ছে করছে না? অফিস যাতায়াতের ধকল যেনো আর আপনি নিতে পারছেন না! গত কয়েক দিন ধরে শরীরটা মোটেও ভালো লাগছে না আপনার। প্রথমদিকে প্রবল গরমে এই উপসর্গগুলোকে শুধুই গরমের ক্লান্তি বলেই অবহেলা করেছেন আপনি। কিন্তু পরে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রক্ত পরীক্ষা করার পর জানতে পারলেন আপনার হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অনেকটাই কমে গেছে। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে এমনটি বেশি হয়।
রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে চুল পড়ার সমস্যাও তখন বেড়ে যায়। মূলত আয়রণের অভাবেই এমনটি হয়। রক্তাল্পতার কারণে অনেক সময় অবসাদও গ্রাস করে। অনেকের আবার হৃদ্স্পন্দনের গতিও বেড়ে যেতে পারে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেক মহিলাই রক্তাল্পতার সমস্যায় ভুগে থাকেন। তবে পুষ্টির অভাবে যে কারও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুষ্টিবিদরা মনে করেন, খাদ্যাভ্যাসে সামান্য বদল করলে এই রোগের সঙ্গে লড়াই করা কোনো ব্যাপারই নয়।
রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে হলে কী খাবেন?
# রক্তে আয়রণের ঘাটতি পূরণে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডিম, পালং শাক, ব্রকোলি, বিট, পনির, আপেল, তরমুজ, বেদানা, আমন্ড, কুমড়োর বীজ, বিট অ্যাপ্রিকট ও কিশমিশ রাখতে পারেন।
# ভিটামিন সি শরীরে আয়রণ শুষে নিতেও সাহায্য করে। শরীরে আয়রণের ঘাটতি মেটাতে, ভিটামিন সি রয়েছে এমন সব খাবার ডায়েটে বেশি করে রাখতে হবে। কমলালেবু, পেঁপে, স্ট্রবেরি, ক্যাপসিকাম, ব্রকোলি, আঙুর ও টম্যাটোতে ভিটামিন সি ভরপুর মাত্রায় থাকে। এইসব খাবার পাতে রাখতে হবে।
# আমরা অনেকেই জানি ফোলিক অ্যাসিড এক ধরনের ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, যা রক্তে লোহিত কণিকা তৈরিতেও সাহায্য করে। সবুজ শাকসব্জিতে প্রচুর মাত্রায় থাকে ফোলিক অ্যাসিড। তাই বেশি করে শাকপাতা এবং সব্জি রাখুন ডায়েটে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।