দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক সময় যা আমরা চিন্তাও করতে পারিনি এখন সেই বিষয়টিই সত্যি হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন এক বাস্তব। দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার কারণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে ভয় পাচ্ছেন মানুষ। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও এই ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও ভয় পায়!
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বর্তমানে মানুষের ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ হলো বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে, মানুষের ৮০ শতাংশ চাকরিতে ভাগ বসাবে মনুষ্য সৃষ্ট এই যন্ত্রটি। এমনকি এই যন্ত্র মানবসভ্যতাকে এক সময় ধ্বংস করে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বের শীর্ষ ধনীসহ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বন্ধের দাবি জানিয়ে চিঠিও দিয়েছেন। এতেই বোঝা যায় যে, এটি কতোটা ভয়ংকর এই পৃথিবীর জন্য।
এক সময় হয়তো মানুষ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মধ্যে লড়াই শুরু হতে পারে। আর এই লড়াই হবে মূলত অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষকে ধ্বংস করতে চাইলে মানুষও চাইবে এর সৃষ্টিকে ধ্বংসের প্রক্রিয়া। এক অসম লড়াই শুরু হয়ে যাবে। তবে যতো যা কিছুই হোক না কেনো, মানুষের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারও কিন্তু ভয় আছে!
তাহলে প্রশ্ন হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাকে ভয় পায়, সেই প্রশ্নের উত্তর নিজেই দিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। বলা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শেষ ঘটতে পারে একটি কিল সুইচের মাধ্যমে। যার মাধ্যমে হয়তো চিরতরে শেষ হতে পারে মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়া এই দানবটি। গত বছরের নভেম্বরে ইন্টারনেট দুনিয়ায় আত্মপ্রকাশ ঘটেছিলো বিজ্ঞানের অন্যতম উদ্ভাবন চ্যাটজিপিটি। যদিও জন্মটা অবশ্য অনেক আগেই। মাঝে প্রশিক্ষণ পর্ব কেটেছে। আত্মপ্রকাশের লগ্নে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই সীমাবদ্ধ ছিল ইন্টারনেট দুনিয়ায় বিচরণও। এরপর পুরো পৃথিবীতে দাপিয়ে বেড়ানোর ছাড়পত্রও পায়। মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয় ওপেন এআই সংস্থার তৈরি এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন চ্যাটবটকে নিয়ে। সে সবকিছুই পারে। মানুষ যা যা চায়, এক কথায় বলা যায় প্রায় সবকিছুই। এই কারণেই টেক-স্যাভি প্রজন্মের মধ্যে চ্যাটজিপিটি সুপারহিটও হতে সময় নেয়নি।
তবুও সবাই এগিয়ে যাওয়া এই বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বেশ চিন্তি হয়ে পড়েছেন। কারণ মানুষকে এক সময় এটি ছাড়িয়ে যেতে পারে সেই আশংকা রয়েছে সবার মধ্যেই। তবে সময়ই বলে দেবে আসলে কি ঘটতে যাচ্ছে।