দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুরো সপ্তাহ কাজে-কর্মে ব্যস্ত সময় পার করেন। যদি একান্তই সময় না হয়, ভারি ব্যায়াম বা জিমে গিয়ে শরীরচর্চার বিকল্প হিসাবে সপ্তাহান্তে কিছু কাজ করতেই পারেন। তাতেও উপকার পাবেন।
ওজন কমাতে, শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতেও শরীরচর্চা করাটা জরুরি। তবে ছুটে চলা জীবনে পৃথকভাবে শরীরচর্চার সময় বের করাই মুশকিল। সারা সপ্তাহ অফিস ও বাড়ি করতে গিয়ে অনেক কিছুই আর করা হয়ে ওঠে না। শরীরের দিকে নজর দেওয়া সেগুলোর মধ্যে একটা। তবে শরীরের প্রতি দীর্ঘ দিনের এই অযত্ন নানা রোগবালাইয়ের জন্ম দিতে পারে। মোটা হয়ে যাওয়ার ভয় তো আছেই, এছাড়াও সপ্তাহভর চনমনে থাকতে শরীরচর্চা করাটা সত্যিই জরুরি। সারা সপ্তাহ যদি একান্তই সময় নাও পান, ভারি ব্যায়াম বা জিমে গিয়ে শরীরচর্চার বিকল্প হিসাবে সপ্তাহান্তে কিছু কাজ করতেই পারেন। তাতেও উপকার পাবেন।
হাঁটতে যাওয়া
ছুটির দিনে সকালে উঠেই শরীরচর্চার কথা ভাবতে গেলেই যেনো গায়ে জ্বর চলে আসে। ছুটিতে বিশ্রাম নিতে মন চায়। তবে সব সময় তো শুয়ে বা বসে থাকতে ভালোও লাগে না। একটা সময় বের করে ছাদে বা বাড়ির সামনের রাস্তাটায় কয়েক পাক হেঁটেও নিতে পারেন। এতে করে মনও ভালো থাকবে, আবার শরীরচর্চাও হবে।
সাঁতার
আমরা সবাই জানি শরীরের জন্য সাঁতার খুবই উপকারী। সুযোগ থাকলে সাঁতার কাটতে জানলে ছুটির দিনে এক বার পানিতে ঝাঁপাতেই পারেন। এতে করে সারা সপ্তাহের ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে। সারা সপ্তাহের শরীরচর্চা না করার ঘাটতিও তখন পূরণ হবে।
সাইক্লিং করতে পারেন
সাইকেল চালানোও খুবই কার্যকরী। নিয়ম করে সাইকেল চালানোর অভ্যাস থাকলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেইসঙ্গে অনেক রোগবালাই থেকেও দূরে থাকা যাবে। ছুটিতেও সময় পেলে সাইকেল চালাতে পারেন কিছু সময়ের জন্য। সারা সপ্তাহ শরীরচর্চা না করার অভাব পূরণ হতে পারে খানিকটা।
স্কিপিং
খেলার ছলে হলেও শরীরচর্চা করতে চাইলে লাফদড়ি খেলতে পারেন। এতে শরীরের জমে থাকা মেদ অনেকটা ঝরে যায়। সেইসঙ্গে স্কিপিং করার কারণে যে ঘাম হয়, তাতেও উপকার পাওয়া যেতে পারে।
নাচ
ছুটির আনন্দ উপভোগ করার ছলে গান চালিয়ে মনের আনন্দে নাচতেও পারেন। নাচলে শুধু মনই নয়, ভালো থাকে শরীরও। পৃথক করে ব্যায়াম বা যোগাসন করতে ইচ্ছে না করলেও নাচ ভালো বিকল্পও হতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org