দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত ৯ মে’র সহিংসতা সম্পর্কিত ৬ মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পিটিআই প্রধান ইমরান খানের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন দেশটির আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) ইসলামাবাদের একটি জেলা এবং দায়রা আদালত ইমরান খানের আবেদন খারিজ করে এই রায় দিয়েছেন। গত ৯ মে আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের পর ইমরান-সমর্থকরা দেশের বিভিন্ন সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেন। রাজপথে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ এবং সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভবনে অগ্নি সংযোগ করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করেন ইমরান সমর্থকরা।
এইসব সহিংসতার ঘটনায় ইসলামাবাদের করাচি কোম্পানি, রমনা, কোহসার, তরনুল সেক্রেটারিয়েট থানায় পিটিআই প্রধানের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা নথিভুক্ত হয়। গতকালকের রায়ে বিচারক মুহাম্মদ সোহেল বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইসব মামলা সংক্রান্ত তদন্তকাজে সহায়তা করলেই সুবিধা হবে। এছাড়াও, আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত সপ্তাহে ইমরান খানের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন বাতিল করে দেশটির একটি স্থানীয় আদালত।
গত ৫ আগস্ট তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় ইমরান খানকে। আদালতের রায়ের পর একই দিন (৫ আগস্ট) তাকে লাহোরের জামান পার্কের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এই নিয়ে মাত্র ৩ মাসের মধ্যে দুই বার গ্রেফতার হলেন তিনি। যদিও এইসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ইমরান খান বর্তমানে পাঞ্জাবের অ্যাটক কারাগারে বন্দি রয়েছেন। ইতিমধ্যে ইমরান খানকে আগামী ৫ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে দেশটির নির্বাচন কমিশন। অবশ্য গত বছর অনাস্থা ভোটে হেরে বিদায় নেওয়ার পর হতে একের পর এক আইনি জটিলতায় পড়ছেন ইমরান খান।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org