দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইতিমধ্যেই কান চলচ্চিত্র উৎসবে অরণ্য আনোয়ার পরিচালিত এবং পরীমণি অভিনীত মুক্তিযুদ্ধ নির্ভর ‘মা’ সিনেমাটির বাণিজ্যিক প্রদর্শনী হয়ে গেছে। ২৬ মে বাংলাদেশে মুক্তি পায় এই সিনেমাটি। এবার সিনেমাটি দেখতে পারবেন লন্ডনের দর্শকরা।
আগামী ১৬ এবং ১৭ সেপ্টেম্বর লন্ডনের রিলাকস রেডিও অডিটোরিয়ামে ‘মা’ এর ৬টি বিশেষ প্রদর্শনী হবে বলে জানিয়েছেন এর নির্মাতা। ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডনের দ্য আর্ট প্যাভিলিয়নে আয়োজিত সম্মিলিত সাহিত্য এবং সাংস্কৃতিক উৎসবে অতিথির বক্তব্যে অরণ্য আনোয়ার এই ঘোষণা দিয়েছেন।
সেই ধারাবাহিকতায় এবার সিনেমাটি প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে লন্ডনে। ১৬ এবং ১৭ সেপ্টেম্বর লন্ডনের এলাকস রেডিও অডিটোরিয়ামে ৬টি বিশেষ প্রদর্শনী হবে বলে জানিয়েছেন এর নির্মাতা। ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডনের দ্য আর্ট প্যাভিলিয়নে আয়োজিত সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসবে অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে অরণ্য আনোয়ার এই ঘোষণা দেন।
লন্ডনে আয়োজিত সম্মিলিত সাহিত্য এবং সাংস্কৃতিক উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিজ্ঞানী ডঃ নুরুন্নবী। আর বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। পরিষদের সভাপতি কবি মঈনুর রহমান বাবু এবং সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আব্দুল্লাহসহ যুক্তরাজ্য প্রবাসী সকল লেখক-কবি-বিশিষ্টজনরা এই অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
মা’ ছবিটির গল্প মুক্তিযুদ্ধের সময়কার কাহিনী। মৃত ঘোষিত ৭ মাস বয়সী এক সন্তানকে নিয়ে তার অসহায় মায়ের এক আবেগের গল্প এটি। এতে মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমণি। এছাড়াও রয়েছেন আজাদ আবুল কালাম, ফারজানা ছবি, রোবেনা করিম জুঁই, সাজু খাদেম, শিল্পী সরকার অপু, শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org