দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ক্রিকেট নিয়ে উন্মাদনা শুরু হয়েছে সর্বত্র। একদিকে ক্রিকেটপ্রেমীরা যখন মাঠের প্রতিটি বাউন্ডারি, প্রতিটি উইকেট এবং অধিনায়কের কৌশল পরিবর্তন দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, তখন অপরদিকে ডিজিটাল মাঠের ক্রিকেটও তাদের মনোযোগ আকৃষ্ট করছে!
আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েডের সেরা কয়েকটি মোবাইল ক্রিকেট গেম নিয়ে তথ্য রয়েছে এই প্রতিবেদনে।
ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ থ্রি (ডব্লিউসিসি থ্রি)
ডব্লিউসিসি থ্রিতে যেনো ক্রিকেটের বাস্তব অভিজ্ঞতাও পাওয়া যাবে। অভিনব কন্ট্রোলের কারণে এই গেমটি খুব সহজেই খেলা যায়। সেইসঙ্গে এতে আরও রয়েছে পেশাদারি ধারাভাষ্যও! এতে মালটিপ্লেয়ার গেমিং সুবিধা থাকার কারণে বন্ধুদের কিংবা অন্য দেশের গেমারদেরও চ্যালেঞ্জ করা যাবে।
ডব্লিউসিসি রাইভালস
আরেকটি গেম হলো ডব্লিউসিসি রাইভালস। এটি অনেকটা রিয়েল ক্রিকেট টুয়েন্টির মতোই অভিজ্ঞতা দেবে। এখনও খুব বেশি মানুষ এই গেমটি সম্পর্কে না জানলেও দ্রুত এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে।
ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট ব্যাটল টু
অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য সেরা ক্রিকেট গেমের তালিকায় বারবার উঠে আসে ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট ব্যাটল টু। এটি বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ফোনে কোনো ঝামেলা ছাড়া খেলা যায়।
শচীন সাগা ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন
আরেকটি আকর্ষণীয় গেম হলো শচীন সাগা ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন গেম। ক্রিকেটের অন্যতম সেরা কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই গেমের নাম রাখা হয়েছে ‘শচীন সাগা ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন’। গেমারদের অভিজ্ঞতাকে ভিন্ন পর্যায়ে নিয়ে যেতে এই গেমটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। সাম্প্রতিক সময় এই গেমটি মোবাইল গেমারদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়তাও পেয়েছে।
রিয়েল ক্রিকেট টুয়েন্টি
রিয়েল ক্রিকেট টুয়েন্টি গেমটি বেশ পরিচিত একটি নাম। বিশেষ করে মোবাইল ক্রিকেট গেমারদের কাছে। এটি অ্যান্ড্রয়েডের সেরা ক্রিকেট গেমেরও অন্যতম। রিয়েল ক্রিকেট টুয়েন্টি খেলার সময় ক্রিকেট মাঠে উপস্থিত হতে রান করার কিংবা উইকেট নেওয়ার মতো অভিজ্ঞতাও পাওয়া যায় বলে উল্লেখ করেন গেমাররা।
স্টিক ক্রিকেট সুপার লিগ
স্টিক ক্রিকেট সুপার লিগও একটি সুন্দর গেম। বাস্তব উপস্থাপনা থেকে কিছুটা ভিন্ন ভিজ্যুয়ালের অভিজ্ঞতা দিতে পারে এই স্টিক ক্রিকেট সুপার লিগ। মোবাইল ডিভাইসের সেরা ক্রিকেট গেমের তালিকায় এটির নাম প্রায় সময় শোনা যায়। বিশেষ ক্রিকেট হিসেবে এই গেম থেকে অনেকেই বিনোদন পেতে পারেন। এই গেমটিতে বাস্তবসম্মত গ্রাফিক্সের পরিবর্তে কিছুটা কার্টুনের মতো গ্রাফিক্স ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এতে আকর্ষণ কিন্তু গেমটির কমে যায়নি একটুও। মোবাইল প্ল্যাটফর্মে বারবার অন্যতম সেরা ক্রিকেট গেমের তালিকায় উঠে আসে এই গেমটি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org