দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে মেট্রোরেল অর্থাৎ এমআরটি লাইন-৬ এর আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল (রবিবার) সকাল থেকে মতিঝিল যাত্রা শুরু হচ্ছে।
বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির এই যানের উদ্বোধন করার ফলে বাংলাদেশ পরিপূর্ণ মেট্রোরেলের যুগে প্রবেশ করলো। আগামীকাল (রবিবার) থেকে এটি সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
প্রথমে ৩টি স্টেশন চালুর মাধ্যমে এই অংশের মেট্রোরেল চলাচল শুরু হচ্ছে। স্টেশনগুলো হলো- মতিঝিল, বাংলাদেশ সচিবালয় ও ফার্মগেট। আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে নগরবাসী ২০.১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবেন মাত্র ৩১ মিনিটেই। এতে বাঁচবে ওই পথ ব্যবহারকারী মানুষের কর্মঘণ্টা, অর্থনীতির চাকা ঘুরবে আরও দ্রুতগতিতে।
মূলত বাংলাদেশ মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ করে ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার উত্তরা-মতিঝিল অংশের মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেছিলেন। ২৯ ডিসেম্বর উত্তরা স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত যাত্রী চলাচল শুরু হয়েছিলো। ৯টি স্টেশনের মধ্যে প্রথমে উত্তরা এবং আগারগাঁও স্টেশন চালু হলেও পর্যায়ক্রমে এ বছরের ৩০ মার্চের মধ্যে ৯টি স্টেশনই চালু করা হয়। এতেও যাত্রীরা পূর্ণাঙ্গ সুবিধা পাননি। তবে আজ (শনিবার) দ্বিতীয় অংশের উদ্বোধনের পর প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ যাত্রী মেট্রোরেল পরিষেবার আওতায় আসবেন।
আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশেও ৭টি স্টেশন রয়েছে। যারমধ্যে প্রথমে ৩টি স্টেশনে রেল থামবে। এই স্টেশনগুলো হলো- মতিঝিল, বাংলাদেশ সচিবালয় ও ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশন। এই তিন স্টেশন হয়ে যাত্রীরা খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন। অপর ৪টি স্টেশনের শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। কিছুদিন সময় লাগবে চালু হতে। কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যায়ক্রমে বিজয়স্মরণী, কারওয়ানবাজার, শাহবাগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনটি চালু হবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org