দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি’র ‘গ্রাফেনেক্স-ইউটিএস হিউম্যান-সেন্টার আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স সেন্টার’ এমন একটি ডিভাইস তৈরি করেছে।
তাদের দাবি হলো, এই ডিভাইসটি মানুষের নীরব চিন্তা পড়তে পারবে। সেইসঙ্গ চিন্তাকে টেক্সটেও (অক্ষর) পরিণত করতে পারবে এই ডিভাইসটি। এই রকম উদ্ভাবন বিশ্বে এই প্রথম বলে দাবি করছেন এর গবেষকরা।
এই উদ্ভাবন আহত এবং বিভিন্ন রোগে বাকশক্তি হারানো মানুষদের জন্য নতুন এক দুয়ার উন্মোচন করবে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকরা। এর মাধ্যমে প্যারালাইসিস বা স্ট্রোকে আক্রান্ত মানুষরা অন্যের সঙ্গে সহজেই যোগাযোগ করতে পারবেন।
এটি মেশিন এবং মানুষের মধ্যেও নিবিড় যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা। মানুষের মাথায় পরিয়ে দেওয়া হবে এই বিশেষ হেলমেটটি। এই সময় মাথার নানা কার্যক্রম বিশেষ করে মস্তিষ্ক-তরঙ্গ সনাক্ত করে মানুষের ভাবনা অনুধাবন করবে বিশেষ ধরনের এই মেশিনটি। সেই সংকেতকেই অক্ষরে পরিণত করবে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
কয়েকজন ব্যবহারকারীর ওপর চালানো পরীক্ষায় দেখা যায় যে, তারা এই ডিভাইস ব্যবহার করে প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে সক্ষম। তবে এই মেশিন সবার জন্য উন্মুক্ত করতে আরও কিছুটা সময়ের দরকার বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। গবেষকরা বলছেন, এই জন্য আরও অনেকটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার। এখনই এর সফলতা কিংবা ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলার সময় হয়নি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org