দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১২ হতে ১৮ জানুয়ারি ভারতের মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে থার্ড আই এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভালের ২০তম আসর। এই আসরে বাংলাদেশ থেকে মনোনীত হয়েছে চলচ্চিত্র নির্মাতা খন্দকার সুমনের ‘সাঁতাও’, নূর ইমরান মিঠুর ‘পাতাল ঘর’ ও সৈয়দা নিগার বানুর ‘নোনা পানি’।
পুতুল ও তার প্রিয় গাভী প্রায় একই সময় গর্ভধারণ করে। তবে দুর্ভাগ্যবশত পুতুল তার শিশু সন্তান হারায় আবার প্রসবের পর তার গাভীটিও মারা যায়। এতো কষ্টের মধ্যে পুতুল মাতৃত্বের নতুন অনুভূতি খুঁজে পান তার অনাথ বাছুর লালুর মধ্যেই।
কৃষকের এক সংগ্রামী জীবন, নারীর মাতৃত্বের সর্বজনীন রূপ ও সুরেলা জনগোষ্টির সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নায় গল্প ফুটে উঠেছে ‘সাঁতাও’ সিনেমাটিতে।
এই সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আইনুন পুতুল এবং ফজলুল হক। সম্প্রতি চলচ্চিত্রটি ‘অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও’ ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পায়। কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তিরাজ্যের দর্শকগণ দেখতে পাবেন।
মা ও মেয়ের মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েনের গল্প নিয়েই নির্মিত হয়েছে ‘পাতালঘর’। এতে অভিনয় করেছেন আফসানা মিমি, নুসরাত ফারিয়া, মামুনুর রশীদ, সালাহউদ্দিন লাভলু, ফজলুর রহমান বাবু, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, নাজিয়া হক অর্ষা, দীপান্বিতা মার্টিন, নাসির উদ্দিন খান, রওনক হাসান, মৌটুসি বিশ্বাস ও এরফান মৃধা শিবলু প্রমুখ।
অপরদিকে, খুলনার দক্ষিণাঞ্চলের একটি গ্রামের কয়েকটি চরিত্র নিয়ে গড়ে উঠেছে ‘নোনা পানি’ চলচ্চিত্রটি। কাহিনী বিন্যস্ত হয়েছে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে তাদের দৈনন্দিন জীবন নিয়েই। এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান, বিলকিস বানু, জয়িতা, রুবেলসহ আরও একঝাঁক অভিনয়শিল্পী।
তবে ‘নোনা পানি’ চলচ্চিত্রটি এখনও বাংলাদেশে মুক্তিই পায়নি। আগামী ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে চলচ্চিত্রটি প্রথম বাংলাদেশে প্রদর্শিত হবে বলে জানা যায়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org