দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি সম্প্রতি এর সকল কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য একটি হেলথ প্রোগ্রামের (স্বাস্থ্য সচেতনতা সংক্রান্ত প্রোগ্রাম) আয়োজন করেছে।
সম্প্রতি রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় অবস্থিত এনার্জি পয়েন্টে এ স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের সহায়তায় এই প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। দু’জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন। কীভাবে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মেনে চলে শারীরিক সমস্যা এড়ানো সম্ভব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে সে সম্পর্কে পরামর্শ পাওয়ার সুযোগ ছিল এই প্রোগ্রামে। এনার্জিপ্যাকের কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে অংশ নেন।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন সেশনের আয়োজন করা হয়। ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের ল্যাপারোস্কোপিক কনসালটেন্ট ও জিআই এন্ড হেপাটোবিলিয়ারি প্যানক্রিয়েটিক সার্জন ডাঃ আনহারুর রহমান ‘সার্জিক্যাল ট্রিটমেন্ট অ্যান্ড ইটস ম্যানেজমেন্ট’ এবং একই হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র সাইকোলজিস্ট ইরিন আলম জোতি ‘লাইফস্টাইল অ্যান্ড স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ে কথা বলেন। বক্তারা স্বাস্থ্যকর জীবন এবং নিত্যদিনের মানসিক চাপ কমানোর কৌশলের ওপর আলোকপাত করেন।
এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হুমায়ুন রশিদ এই উদ্যোগ সম্পর্কে বলেন, “এনার্জিপ্যাক একটি পরিবারের মতো। পরিবারের সদস্যদের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কর্মীরা যেন মানসিক এবং শারীরিকভাবে সুস্থ বোধ করে সেজন্য আমরা এই হেলথ প্রোগ্রামের আয়োজন করেছি। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা কর্মীদের নিজেদের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ নিতে উত্সাহিত করতে চাই। সুস্থ মন ও দেহ বজায় থাকলে জীবনে আরও উন্নতি সাধন করা সম্ভব।”
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org