দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শিশুদের প্রতিভা সকলের সামনে তুলে ধরতে ‘স্টার স্পটলাইট’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে চলেছে নিউ হরাইজন কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।
আগামী ২২ এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি বেলা ১০টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এতে চিত্রাঙ্কন, নাচ, সঙ্গীত, কবিতা, গণিত, বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের মতো আরও নানান বিষয়ে নিজেদের প্রতিভা প্রদর্শনের সুযোগ পাবে ২ থেকে ৮ বছর বয়সী শিশুরা।
রাজধানী ঢাকার নিউ ইস্কাটনের ৩৮/২/বি, দিলু রোডে অবস্থিত নিউ হরাইজন কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ক্যাম্পাসে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কনটেন্ট নির্মাতা এবং শিল্পী মাসুদা খান।
সুপ্ত প্রতিভা খুঁজে বের করা এবং তা সবার সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে শিশুদের বিকশিত করতেই এই মনোজ্ঞ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। শিশুদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো ও সকলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করাই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। প্রতিযোগিতাটি দু’টি বিভাগে আয়োজিত হবে; একটি ২ থেকে ৫ বছর বয়সীদের জন্য, অপরটি ৬ থেকে ৮ বছর বয়সীদের জন্য। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা নিউ হরাইজন কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পক্ষ হতে স্কলারশিপ এবং সার্টিফিকেট পাবে। প্রথম পুরস্কার বিজয়ীরা স্কুলে একদম ফ্রি ভর্তি হওয়ার সুযোগের পাশাপাশি, টিউশন ফি’র ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ স্কলারশিপ পাবে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান বিজয়ীদের জন্যও নিউ হরাইজন কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ভর্তি ফি ছাড়াও ভর্তি হওয়ার সুযোগ রয়েছে; তাছাড়াও, তারা টিউশন ফি’র ক্ষেত্রে যথাক্রমে ২০ এবং ১৫ শতাংশ স্কলারশিপ পাবে। দু’টি বিভাগে মোট ৬ জন শিক্ষার্থীকে এই পুরস্কার প্রদান করা হবে।
চিত্রাঙ্কন বিভাগে অংশ নেওয়া শিশুদের ছবি আঁকার জিনিসপত্র সঙ্গে করে নিয়ে আসতে হবে। একইভাবে, সঙ্গীত বিভাগে অংশ নিতে শিশুদের নিজেদের বাদ্যযন্ত্র সঙ্গে আনতে হবে। তবে স্কুলের পক্ষ হতে আর্ট পেপার এবং সাউন্ড সিস্টেম সরবরাহ করা হবে।
এই বিষয়ে নিউ হরাইজন কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ ক্রিস্টাল জাউগ বলেন, “শিশুদের প্রতিভা এবং সৃজনশীলতা সবার সামনে তুলে ধরতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। আমরা আশাবাদী, এই ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতা গড়ে উঠবে। সেইসঙ্গে, অপরিচিত মানুষের সামনে নিজেকে তুলে ধরার ক্ষেত্রেও তাদের সংকোচ কেটে যাবে। শিশুদের অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতার দিনটি আনন্দময় করে তোলার অপেক্ষায় রয়েছি আমরা।”
ছোট্ট সোনামণির প্রতিভা সবার সামনে তুলে ধরতে ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই ফর্মটি পূরণ করে প্রতিযোগিতায় আপনার শিশুর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করুন – https://forms.gle/nhcrMv6eLpckhYVY8। বিস্তারিত জানতে এই নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন – ০১৮৮৬৮৬৮৪৫২।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org