দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লিবিয়ায় অন্তত ৬৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর লাশে ভরা একটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। গণকবরটি পাওয়া যায় দক্ষিণ-পশ্চিম লিবিয়ায়।
লিবিয়া উপকূল হতে রাবারের ডিঙি নৌকায় যাত্রা করা অন্তত ৬০ অভিবাসনপ্রত্যাশী ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনার পরই এই গণকবরের খোঁজ পাওয়া গেলো।
এই গণকবর আবিস্কারের ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংগঠন (আইওএম) বলেছে, কি পরিস্থিতিতে তাদের মৃত্যু ঘটেছে এবং তারা কোন দেশের নাগরিক তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে যে, মরুভূমির মধ্যদিয়ে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে পাচার হওয়ার সময় তারা হয়তো মারা গেছেন। লিবিয়া এই বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
আইওএম লিবিয়া কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য জাতিসংঘ সংস্থাগুলোকে লাশ উদ্ধার করা, পরিচয় বের করা ও দেহাবষেশ পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। আইওএম এর একজন মুখপাত্র বলেছেন, প্রতিটি নিখোঁজ ও প্রাণহানির ঘটনাতেই শোকার্ত স্বজনরা তাদের প্রিয়জনের খোঁজ করে থাকে। তাদের বিষয়ে জানতে চায় বা ক্ষতি স্বীকার করে নেয়। এই মর্মান্তিক ঘটনা অভিবাসনপ্রত্যাশী পাচারের বিরুদ্ধে সমন্বিত ব্যবস্থা নেওয়া ও অভিবাসনের বৈধ পথের দিকে নজর দেওয়ার প্রয়োজনীয়তাকে সামনে নিয়ে এলো।
আইওএম এর আগে এই মাসের শুরুর দিকে বলেছিল যে, এক দশক আগে শরণার্থী নিহতের রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর হতে ২০২৩ সালেই সবচেয়ে বেশি অভিবাসপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন রুটে যাত্রাপথে অভিবাসনপ্রত্যাশী নিহত হয়েছে অন্তত ৮ হাজার ৫৬৫ জন সাধারণ মানুষ।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org