দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই জানি পানির কোনও বিকল্প হয় না। তবু পানি খাওয়ার কথা মনে না থাকল ভরসা হতে পারে কয়েকটি সাধারণ খাবার।
গরমে শরীর সুস্থ রাখতে পানি খাওয়ার কোনওই বিকল্প নেই। তেষ্টা না পেলেও কিছুক্ষণ পর পর পানি খাওয়ার কথা বলেছেন চিকিৎসকরা। তবে কাজের চাপে, ব্যস্ততায় পানি খাওয়ার কথা ভুলেই যান অনেকেই। ঘন ঘন পানি খাওয়ার অভ্যাস না থাকলে পানি খাওয়ার কথা মনেও থাকে না। তাতে আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে শরীর। পানির কোনও বিকল্পই হয় না। তবু পানি খাওয়ার কথা মনে না থাকলে ভরসা হতে পারে কয়েকটি খাবার।
আপেল
আপেল শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। আপেলে ৮৫ শতাংশ পানি থাকে। যে কারণে সারা দিনে একটি আপেল খেলেও শরীরে পানির ঘাটতি খানিকটা হলেও পূরণ হয়। এছাড়াও আপেল অনেকক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে আসে। তাতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেইসঙ্গে শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে আপেলের জুড়ি নেই।
শসা
শসায় পানির পরিমাণ হলো ৯৬ শতাংশ। খাবারের সঙ্গে প্রতিদিন যদি কয়েক টুকরো শসা খেতে পারেন, তাহলে বেশ সুফল পাবেন। নিয়মিত শসা খেলে শরীরে পানির পরিমাণ পর্যাপ্ত থাকে। পানির অভাবে যে রোগগুলো হয়, সেগুলোর ঝুঁকি কমে। কিডনিতে পাথর জমার আশঙ্কাও কমে এর কারণে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে শসা খেলে সুফল পেতে পারেন।
দুধ
শরীরে পানির অভাব পূরণ করতে পারে দুধ। তাই প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে ২-৩ দিন দুধ খেতে পারলে ভালো হয়। দুধের মতো স্বাস্থ্যকর তরল খাবার খুব কমই রয়েছে। এছাড়াও দুধে ক্যালশিয়ামও রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। যে কারণে দুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে এক দিকে যেমন হাড়ের যত্ন নেওয়া হয়ে যায়, ঠিক তেমনি শরীরে পানির ঘাটতিও পূরণ হয়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org