দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি করলা খেলে সুস্থ থাকে শরীর। তবে সঙ্গে বা আগে-পরে কিছু খাবার খেলে হিতে বিপরীতও হতে পারে। তাহলে করলার সঙ্গে কোন খাবারগুলো খাওয়া যাবে না?
ভাজা, তরকারি, সেদ্ধ, ডাল ইত্যাদির সঙ্গে গরমের এই সময় বাঙালির হেঁশেলে করলা রান্না চলে। তেতো বলে যারা সারা বছর করলা বা উচ্ছের মুখ দেখতেন না, গরম বাড়তেই করলাকে তারা যেনো আপন করে নিয়েছেন। এই চাঁদিফাটা রোদ ও হাঁসফাঁস করা গরমে সুস্থ থাকতে পানি ও করলার যে কোনই বিকল্প নেই, সেটি অনেকেই বোঝেন। তাই বাজারে গিয়ে প্রথমে খোঁজ করছেন এই সব্জিটির। ব্যাগ ভর্তি করে কিনে আনছেন। করলা খেলে সুস্থ থাকবে শরীর। তবে সঙ্গে কিংবা আগে-পরে কিছু খাবার খেলে আবার হিতে বিপরীতও হতে পারে। তাহলে করলার সঙ্গে কোন খাবারগুলো খাবেন না?
দুধ
করলা খাওয়ার পূর্বে বা পরে দুধ খেলে শরীরের উপর তার ক্ষতিকর প্রভাবও পড়তে পারে। তাই ভুলেও কম সময়ের ব্যবধানে এই দু’টি খাবার কখনও খাবেন না। দুধ ও করলা একসঙ্গে শরীরে প্রবেশ করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতেই পারে।
মুলা
করলা খাওয়ার পর পরই কখনও মুলা খাবেন না। যে কারণে নানা শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। করলার সঙ্গে মুলা খাওয়ার অভ্যাস মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। একটার পর অপরটা খেলে গ্যাস, বুকজ্বালার মতো অসুস্থতাও দেখা দিতে পারে।
ঢ্যাঁড়শ
করলা ও ঢ্যাঁড়শ দু’টি খাদ্যই অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। তবে এই দু’টি একসঙ্গে খেলে পেটের গোলমাল হতেই পারে। ঢ্যাঁড়শ সেদ্ধ ও করলা ভাজা এক দিনে না রাখাই ভালো। দু’দিন দুটো সব্জি খান। তাতে শরীর ভালো থাকবে। আর এক দিনে খেলেই বিপদ।
দই
এই গরমের সময় পাতে টক দই থাকেই। তাই বলে প্রথম পাতে করলা খাবেন না। দইয়ের সঙ্গে করলার সম্পর্ক মোটেও ভালো নয়। যে কারণে দু’টোই একসঙ্গে খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। করলার কোনও বাহারি পদে কখনও ভুল করেও দই মেশাবেন না।
আম
বাঙালিদের কাছে এই গ্রীষ্মকাল আম ছাড়া যেনো অসম্পূর্ণ। তবে করলা খাওয়ার দিনে ভুলেও কিন্তু আম খাবেন না। এই দুটি খাবার শারীরিক অস্বস্তির কারণও হয়ে উঠতে পারে। তাই গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়তে না চাইলে আম ও করলা একসঙ্গে না খাওয়াই ভালো। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org