দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মেয়েদের এই সময়টিতে নানা রকম সমস্যা হয়ে থাকে। তাই বলে তো প্রতি মাসে ব্যথা কমানোর ওষুধ খাওয়া যায় না! তা থেকে পরবর্তীকালে অন্য ধরনের সমস্যাও তৈরি হতে পারে। তবে ওষুধ ছাড়াও ঋতুস্রাবের কষ্ট কমতে পারে ঘরোয়া কয়েকটি উপাদানে।
হাজার রকম সমস্যার মধ্যে মেয়েদের বাড়তি একটা সমস্যায় হলো ঋতুস্রাবের ব্যথা। ঋতুস্রাব চলাকালীন অনেক মেয়েই এই সমস্যার মুখে পড়েন। মাসের ওই ক’টা দিন হরমোনের ওঠানামার জন্য মেজাজেও নানাভাবে ওঠাপড়া লেগেই থাকে। প্রতিদিনের কাজেও তার প্রভাব পড়ে। মাসের পর মাস এই সমস্যা সামলেই চলতে হয় অনেক মেয়েকে। কারণ হলো প্রতি মাসে তো আর ব্যথা কমানোর ওষুধ খাওয়া যায় না। তা থেকে পরবর্তীকালে অন্য ধরনের সমস্যাও তৈরি হতে পারে। যে কারণে ঋতুস্রাবের সময়ের ব্যথা, বমি বমি ভাবের কষ্ট কাটাতে হবে অন্য কোনওভাবে। এই ক্ষেত্রে সাধারণ ঘরোয়া কয়েকটি উপায় অবলম্বন করতে পারেন। কী করলে কমতে পারে ঋতুস্রাবের ব্যথা?
ফ্ল্যাক্স ও চিয়া সিড
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত এই দুই প্রকার বীজ দুটি ঋতুস্রাবের মধ্যেকার ব্যবধান কমিয়ে আনতে পারে। প্রতি মাসে নির্ধারিত সময় ঋতুস্রাব হয়ে গেলে, ব্যথার পরিমাণও তখন কমে যায়।
আদা
আপনার রান্নাঘরে আদা থাকবে না, তা হতে পারে না। ঋতুস্রাব চলাকালীন সময় আদা দিয়ে বানানো চা খেলে, ব্যথা অনেকটাই প্রশমিত হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এই সময় অনেকের মাথা ধরা, গা গুলোনোর মতো সমস্যাও দেখা যায়। তাও নির্মূল করে আদা চা।
হলুদ
হলুদের গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। সাধারণত দুধে এক চিমটে হলুদ দিয়ে খেলে শরীরের যে কোনও ব্যথা কমে যায়। তবে এই সময় যেহেতু দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খেতে বারণ করা হয়ে থাকে, তাই হালকা গরম পানিতে হলুদ গুলে খাওয়া যেতে পারে। হলুদ জরায়ুতে রক্ত সঞ্চালনও বাড়িয়ে তোলে। তাছাড়াও হলুদ হলো ইস্ট্রোজেনের প্রাকৃতিক একটি উৎস। এই হরমোনটিই ঋতুস্রাবকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org