দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেসিস নির্বাচনের শেষপ্রান্তে এসে এবারের বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিম তাদেরকে সমর্থনের আহ্বান জানালেন আমন্ত্রিত বেসিস সদস্যদের প্রতি।

দেশের সফটওয়্যার শিল্পখাতকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে এবারের বেসিস নির্বাচনে ওরা ১১ জনের এই “ওয়ান টিম’কে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে আহ্বান জানানো হয়েছে বেসিস সদস্যদের প্রতি।
গতকাল (রবিবার) সন্ধ্যায় হোটেল কন্টিনেন্টালের বলরুমে এই উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে বর্তমান বেসিস সভাপতি ও ওয়ান টিমের নেতৃত্বদানকারী রাসেল টি আহমদের নেতৃত্বে ওরা ১১ জন অর্থাৎ ওয়ান টিমের ১১ সদস্য মঞ্চে উপস্থিত হয়ে উপস্থিত প্রায় হাজার খানেক সদস্যদের করতালিতে সিক্ত হন।
এই সময় বর্তমান বেসিস সভাপতি ও ওয়ান টিম নেতা রাসেল টি আহমেদ ১১ সদস্যকে পরিচয় করিয়ে দেন। এই ১১ জন সদস্য এই সময় সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন। তারা সবাই আগামী ৮ মের বেসিস নির্বাচনে তাদেরকে বিজয়ী করতে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।

বেসিসকে এবং বর্তমান স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রগতিকে আরও বেগবান করার অঙ্গীকার করেন এই ১১ সদস্য। এই সময় বেসিসের বর্তমান ও পূর্বের বোর্ডের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমে ওরা ১১ জন:
বেসিসের বর্তমান সভাপতি রাসেল টি আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ওয়ান টিম প্যানেল। এই প্যানেলের অন্য প্রার্থীরা হচ্ছেন জেনারেল ক্যাটাগরিতে এম আসিফ রহমান, উত্তম কুমার পাল, দিদারুল আলম, রাশিদুল হাসান, এ কে এম আহমেদুল ইসলাম, ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান, কে এ এম রাশেদুল মজিদ এবং সৈয়দ আবদুল্লাহ জায়েদ (অ্যাসোসিয়েট), বিপ্লব ঘোষ (অ্যাফিলিয়েট) এবং সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল (আন্তর্জাতিক)।

উল্লেখ্য, আগামী ৮ মে সকাল ১০টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর গুলশান শুটিং ক্লাব-এ বেসিস নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। বেসিসের এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৪৬৪ জন। এদের মধ্যে জেনারেল ক্যাটাগরিতে ভোটার ৯৩২, অ্যাসোসিয়েট ক্যাটাগরিতে ভোটার ৩৮৯, অ্যাফিলিয়েট ক্যাটাগরিতে ভোটার ১৩৪ এবং আন্তর্জাতিক ক্যাটাগরিতে ভোটার ৯ জন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org