দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি বিশ্বের প্রায় জায়গাতেই ১২ ঘণ্টার দিন, ১২ ঘণ্টার রাত। তবে বিশ্বের এমন ৫টি দেশ রয়েছে যেখানে ২৪ ঘণ্টাই থাকে দিন। আজ জেনে নিন সেই দেশগুলো সম্পর্কে।
আমরা জানি বিশ্বের প্রায় জায়গাতেই ১২ ঘণ্টার দিন, ১২ ঘণ্টার রাত। তবে বিশ্বের এমন ৫টি দেশ রয়েছে যেখানে ২৪ ঘণ্টাই থাকে দিন। আজ জেনে নিন সেই দেশগুলো সম্পর্কে।
নরওয়ে
নরওয়েতে মে মাসের শেষ থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত ৭৬ দিন সূর্য অস্তই যায় না। তাই আর্কটিক সার্কেলে অবস্থিত নরওয়েকে বলা হয়ে থাকে মধ্য রাতের সূর্যের দেশ। নরওয়ের স্যালবার্ডে ১০ এপ্রিল হতে ২৩ অগাস্ট পর্যন্ত দিন-রাত সব সময়ই সূর্যের আলো থাকে।
নুনাভুত- কানাডা
আর্কটিক সার্কেল হতে প্রায় দুই ডিগ্রি উপরে কানাডার উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত এই নুনাভুত। এই স্থানটিতে প্রায় দুই মাস ধরে ২৪ ঘণ্টাই সূর্যের আলো থাকে। অপরদিকে শীতকালে এই জায়গাটি টানা ৩০ দিন সম্পূর্ণভাবে অন্ধকার থাকে।
আইসল্যান্ড
আইসল্যান্ডে গ্রীষ্মের সময় রাত হয়, আবার জুন মাসে সূর্য কখনই অস্তই যায় না!
ব্যারো- আলাস্কা
মে মাসের শেষ হতে জুলাই মাসের শেষ পর্যন্ত এখানে সূর্য অস্তই যায় না। নভেম্বরের শুরু হতে পরবর্তী ৩০ দিন আবার এখানে সূর্যই ওঠে না। তাই এটি পোলার নাইট নামেই পরিচিত। গোটা শীতকাল সমগ্র দেশ একেবারে অন্ধকারে ডুবে থাকে।
সুইডেন
মে মাসের শুরু হতে আগস্ট মাসের শেষ পর্যন্ত সুইডেনে মাঝরাতে সূর্য অস্ত যায় ও প্রায় ৪টার সময় উদয় হয়। এখানে এক টানা ৬ মাস সূর্য অস্তই যায় না। অর্থাৎ এখানে দিন-রাতই দিনের আলো থাকে!
এই ৫টি ছাড়াও অ্যান্টার্কটিকা, ফিনল্যান্ড, রাশিয়ায় বছরের কিছু সময় ২৪ ঘণ্টায় দিনের বেলায় আলো থাকে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org