দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে এমন কিছু নদী রয়েছে, যেগুলোতে এক বার নামলে বেঁচে ফেরে না কোনো মানুষ! আজ রয়েছে এমন এক নদীর গল্প!
আপনি জানেন কী? পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে এমন কিছু নদী রয়েছে, যেগুলোতে এক বার নামলে বেঁচে ফেরে না কোনো মানুষ!
হোয়ারফে, ইংল্যান্ড
এই নদী যেনো এক প্রাকৃতিক ফাঁদ! দেখতে যতোটা সুন্দর, ততোটাই বিপজ্জনক এই নদীটি। শোনা যায় যে, ইয়র্কশায়ারের কাছে এই নদীতে কেও পড়ে গেলে নাকি আর কখনও ফিরে আসেন না! কেনো, তা আজও এক রহস্য। কারও কারও মতে, এই নদীগর্ভেই রয়েছে অসংখ্য প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ। ওই সুড়ঙ্গেই নাকি তলিয়ে যায় মানুষ।
শানায় টিমপিশকা, পেরু
পেরুর এই নদী পৃথিবীর একমাত্র ‘ফুটন্ত নদী’ হিসেবে পরিচিত। সাড়ে ৬’কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদীর পানি এতোই উষ্ণ যে, কোনও মানুষ এই পানিতে পড়ে গেলে তার পক্ষে বেঁচে ফেরা এক কথায় অসম্ভব। এই নদীটির ন্যূনতম উষ্ণতা হলো ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কোথাও কোথাও এই উষ্ণতা পৌঁছে যায় ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও! আর তখন ফুটতে শুরু করে পানি।
কঙ্গো, আফ্রিকা
কঙ্গো হলো পৃথিবীর গভীরতম এক নদী। কোথাও কোথাও এই নদীর গভীরতা নাকি ৭০০ ফুটেরও বেশি। এই গভীরতার জন্য নদীটির তলদেশে আলো পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। তাই নদীর তলায় ঠিক কী রয়েছে, তা নিয়ে রহস্যের যেনো অন্ত নেই।
মিসিসিপি, উত্তর আমেরিকা
উত্তর আমেরিকার দীর্ঘতম নদী হলো মিসিসিপি। আপাত-শান্ত মনে হলেও এই নদীটিও প্রতি বছর বেশ কিছু মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। মিসিসিপি নদীতে ‘বুল শার্ক’ এবং ‘পাইক’ নামক এক প্রজাতির মাছের বাসস্থান। এই মাছগুলির আক্রমণে প্রতি বছরই মারা যান বহু মানুষ। সেই সঙ্গে এই নদীতে রয়েছে অসংখ্য ঘূর্ণি, যা খালি চোখে ঠাহর করা বেশ কঠিন।
নীল নদ, আফ্রিকা
শুধুমাত্র মিশরই নয়, আফ্রিকার মোট ১১টি দেশের উপর দিয়ে বয়ে চলা নীল নদ হলো আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের জীবনরেখা। এই নীল নদেও লুকিয়ে রয়েছে বিপদ। নদ জুড়ে কুমিরের বসবাস। প্রতি বছর গড়ে ২০০ জন মানুষের মৃত্যু ঘটে সেই কুমিরের আক্রমণে। নীল নদের পানিতে হদিশ মেলে বেশ কিছু মারণ জীবাণুর। তাই এই নদীর বেশ কিছু অংশে কখনও স্নান করেন না স্থানীয় মানুষরা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।