দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবীতে বেশ কিছু স্থান রয়েছে যেগুলো আপনি দেখলে অভিভূত হবেন। আজ রয়েছে এমন কয়েকটি বিখ্যাত স্থানের কথা।
পৃথিবীতে বেশ কিছু স্থান রয়েছে যেগুলো আপনি দেখলে অভিভূত হবেন। আজ রয়েছে এমন কয়েকটি বিখ্যাত স্থানের কথা।
নিউজিল্যান্ডের ওয়েটোমোর জোনাকির গুহা
নিউজিল্যান্ডের ওয়েটোমোরে রয়েছে একটি অসাধারণ গুহা। এই গুহার বৈশিষ্ট্যই হলো গুহাটির ছাদে এবং দেওয়ালের গায়ে লেগে থাকে অসংখ্য (লক্ষ লক্ষ) জোনাকি পোকা। জোনাকি পোকার আলোতেই আলোকিত হয়ে থাকে এই গুহাটি। দেখে মনে হবে গুহার দেওয়ালে এবং ছাদে মিট মিট করে জ্বলছে অসংখ্য তারা। সত্যিই এক অসাধারণ সুন্দর একটি স্থান এটি।
চীনের বিখ্যাত রিড ফ্লুট গুহা
ফিচারের কভারে যেই রঙবেরঙের আলোকিত স্থানটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেটিই হলো চীনের রিড ফ্লুট গুহা। ২৪০ মিটার দীর্ঘ এই গুহা প্রায় ১২০০ বছর ধরে চীনের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছে। পানির প্রতিফলন এবং আলো আধারিতে সৃষ্টি হওয়া নানান রঙের প্রাকৃতিক আলোতে স্বর্গের কোনো স্থান বলেই মনে হয় এই গুহাটিকে।
বলিভিয়ার সালার ডি ইউনি
বলিভিয়ার সালার ডি ইউনি বৃষ্টির মৌসুমে পৃথিবীর সবচাইতে বড় সল্ট ফ্ল্যাট হিসেবে পরিণত হয় পৃথিবীর সবচাইতে বড় আয়নায়। প্রাচীন অনেকগুলো লেকের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে সালার ডি ইউনি। বৃষ্টির সময় পুরো আকাশের প্রতিবিম্ব দেখা যায় বলে এটিকে বিশাল একটি আয়না বলেও মনে হয়।
মালদ্বীপের তারার সমুদ্র
মালদ্বীপের তারার সমুদ্র দেখলে আপনিও অভিভূত হবেন। একবার ভেবে দেখুন, একটি সমুদ্রের সামনে বসে রয়েছেন আপনি। আপনার সামনে সমুদ্রের ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে বার বার। ওদিকে সমুদ্রের পানিতে ভাসছে অসংখ্য তারা! ঠিক এমনই একটি সমুদ্র রয়েছে ছোট্ট দেশ মালদ্বীপে। তবে সমুদ্রের পানিতে যেগুলোকে জ্বলজ্বল করতে দেখছেন সেগুলো মোটেও তারা নয়। সন্ধ্যায় অন্ধকার হয়ে গেলেই অসংখ্য ফাইটোপ্লাঙ্কটন জ্বলজ্বল করে এই সমুদ্রের পানিতে, তখন দেখতে সত্যিই অদ্ভুত লাগে।
ফিনল্যান্ডের মেরুঅঞ্চলের প্রহরী
ফিনল্যান্ডের মেরুঅঞ্চলের প্রহরী দেখে ভাবছেন বরফের মধ্যে এগুলো কী? এগুলো আসরে ফিনল্যান্ডের মেরুঅঞ্চলের প্রহরী হিসেবে পরিচিত। তবে বাস্তবে এগুলো হলো বরফের মধ্যে ঢেকে যাওয়া উঁচু উঁচু গাছ। তাপমাত্রা ৪০ হতে -১৫ এর মধ্যে থাকলেও এই অঞ্চলের গাছগুলো দেখতে এরকমই হয়ে যায়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।