দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোহিনী সরকার এবার ধরাবাঁধা ছক ভেঙেছেন, নিজের মতো গড়ে তুলেছেন নিয়ম। নিজের জীবন, নিজের স্বাধীনতা— এই মন্ত্রেই তিনি বিশ্বাসী। ব্যক্তিগত জীবনে কয়েকজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে তুমুল আলোচনায় উঠে আসেন। এইসব নিয়ে বরাবরই খোলামেলা কথা বলতে দেখা যায় তাকে।
তবে সোহিনী সরকার তার নিজের বাড়িতে একবার হেনস্তার শিকার হন। অতীতের সেই ঘটনা নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন এই অভিনেত্রী। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সোহিনী সরকার ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘আমার পাশের ফ্ল্যাটেই একজন ইলেকট্রিশিয়ান এসেছিল। আমি ওইসময় ওখানে ঝুঁকে দাঁড়িয়ে কিছু একটা বলছিলাম। হঠাৎ করে কেও একজন আমার পেছনে চিমটি কেটে চলে যায়! ভাবুন একবার, আমার বাড়িতে দাঁড়িয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটলো তাও আবার আমার জীবনে!’
তবে চিমটি কেটে চলে যাওয়া ব্যক্তিকে ডেকে যে, কষে থাপ্পড় মারবেন, সেই সময়ও তখন পাননি সোহিনী। কারণ ঘটনার আকস্মিকতায় উপলব্ধি করতে বেশ দেরি হয়ে গিয়েছিল তার। ততোক্ষণে ওই ব্যক্তি উধাও।
এই ঘটনার পর মানসিকভাবে মোটেও ভালো ছিলেন না সোহিনী। সেটি জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘ঘটনার পর আমি সারারাত ঘুমোতে পারিনি। প্রতিক্রিয়া স্বরূপ মায়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারও করেছি। কিছুক্ষণ পরপর ঘৃণার উদ্রেকও হয়েছে।’
যেসব ব্যক্তি এই ধরনের ঘটনা ঘটায় তাদেরকে সমাজের যে কোনো ক্ষেত্র থেকে বিতাড়িত করা উচিত বলে মনে করেন বর্তমান সময়ের টালিউডের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী সোহিনী সরকার।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org