দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্যস্ত এই সময় সহজে বহনযোগ্য প্রযুক্তিই এখন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। কর্মজীবীদের জন্য যে কোনো জায়গায় বসে কাজ করতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিষয়টি মাথায় রেখে ইনফিনিক্স নিয়ে এসেছে ইনবুক এক্স২ ল্যাপটপ যা খুব সহজেই বহন করা যায়।
সাশ্রয়ী মূল্যের এই ল্যাপটপ সঙ্গে নিয়ে যে কোনো সময় যে কোনো জায়গা থেকে কাজ করা যায়। চমৎকার ডিজাইনের স্লিম এবং হালকা ওজনের ইনবুক এক্স২ মাত্র ১৪.৮ মি.মি. পুরু ও এর ওজন ১.২৪ কেজি। এটি খুব সহজেই ব্যাগে এঁটে যায়, যে কারণে বহন করা খুবই সহজ। ল্যাপটপটির ৫০ ওয়াট-আওয়ারের দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির কারণে ব্যবহারকারীরা নিশ্চিন্তে সারাদিন ধরে কাজ করে যেতে পারেন। যে কারণে চার্জ দেওয়া নিয়ে বাড়তি চিন্তাই করতে হয় না। এছাড়াও এর ৪৫ ওয়াটের টাইপ-সি চার্জারটি ফাস্ট চার্জিং সাপোর্টও করে। এতে প্রয়োজনের সময় দ্রুত ব্যাটারি চার্জও করে নেওয়া যায়।
আকারে খুব বেশি বড় না হলেও ইনফিনিক্স ইনবুক এক্স২ তে রয়েছে ১১তম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই৫ প্রসেসর। যে কারণে যে কোনো জায়গায় বসেই অফিসের কাজ অনায়েসেই সেরে নিতে পারা যাবে। ইনফিনিক্সের নিজস্ব কুলিং সিস্টেম ‘আইস স্টর্ম ১.০’-এর সাহায্যে প্রসেসর দ্রুত ঠাণ্ডাও হয়ে যায়। যে কারণে ডিভাইসটি কোনো ঝামেলা ছাড়াই কার্যকরভাবেই চলতে পারে।
দুর্দান্ত ভিজুয়ালের জন্য এই ল্যাপটপটিতে যুক্ত করা হয়েছে ১০০% এসআরজিবি প্রফেশনাল ডিসপ্লে। এর ১৯২০/১০৮০ পিক্সেলের রেজোলিউশনের ১৪ ইঞ্চি এফএইচডি আইপিএস স্ক্রিনের সাহায্যে এ পথেই ভিডিও কনফারেন্সিং, প্রেজেন্টেশন এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েশনের মতো কাজ করা যায়।
বহনযোগ্য ল্যাপটপ হিসেবে ৬১,৯৯০ টাকা বাজারমূল্যের ইনফিনিক্স ইনবুক এক্স২ বেশ সাশ্রয়ী বলা যায়। তবে ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখেই ইনফিনিক্সের এই ল্যাপটপের দাম আরও কমতে পারে, যা সহজে বহনযোগ্য এই ল্যাপটপটিকে আরও সাশ্রয়ী করে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org