দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বার্সেলোনা স্ট্রাইকার লিওনেল মেসি গতকাল শুক্রবার বিচারকের সামনে হাজির হন এবং মেসির’র আইনজীবী ক্রিস্টোবাল মার্শেল বলেন, “মেসি এবং তাঁর বাবা দুজনেই স্প্যানিশ অথোরিটির সাথে সম্পূর্ণ সহযোগীতাসম্পন্ন মনোভাব দেখিয়েছেন।” কর ফাঁকির অভিযোগে মেসি নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমাণ করেতে পেরেছেন বলেও মন্তব্য করেছেন আইনজীবী ক্রিস্টোবাল মার্শেল।
শুক্রবার মেসি আদালতে গিয়েছিলেন কর ফাঁকির অভিযোগ সংক্রান্ত শুনানীতে অংশ নিতে। এবং যেসব কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে সেগুলো সম্পর্কে তিনি যা জানেন সেটাই বলেছেন বলে আইনজীবী জানান।
মেসি ও তার বাবার বিরুদ্ধে ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ ইউরো কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। যদিও গত মাসে ৫০ লাখ ইউরো স্পেনের আয়কর বিভাগে জমা দেন মেসির বাবা। অতিরিক্ত ১০ লাখ ইউরো বকেয়া করের সুদ হিসেবে দেন তিনি।
প্রথম অভিযোগ ওঠার পর গত জুলাইতে অস্বীকার করে মেসি বলেছিলেন, “করের বিষয়গুলো আমি নিজে দেখাশোনা করি না, আমার বাবাও করেন না। সম্পদের দেখাশোনা এবং হিসেব রাখার জন্য আমাদের আইনজীবীরা আছেন, উপদেষ্টারা আছেন। তাঁরাই সব দেখেন। আমরা তাঁদের বিশ্বাস করি। আশা করি, তারা এ সমস্যার মোকাবেলা করে সমাধান করে ফেলবে।”
শুক্রবার শুনানি শেষে আদালতের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। মামলাটি খারিজ হয়ে যাবে নাকি অভিযুক্তদের জরিমানা করা হবে বিচারক সেই সিদ্ধান্ত নেবেন। সর্বোচ্চ আদালতের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, মামলাটি দীর্ঘায়িত না করাই উচিৎ।
আদালত থেকে বেরিয়ে এসে মেসি কিংবা তার বাবা কোনো কথা না বললেও, আইনজীবি ক্রিস্তোবাল মার্শেল জানিয়েছেন, “মেসি ও তার বাবা প্রমাণ করেছেন যে কর ফাঁকি দেয়ার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই। বরং তাদের ইচ্ছা আয়কর বিভাগের সঙ্গে সরাসরি এই সমস্যা সমাধান করার।”
বিচারকক্ষ রুদ্ধদ্বার ছিল বলে আসলে কী ঘটেছে, সেটা জানতে পারেনি কোনো সংবাদমাধ্যম। তবে তাঁদের আইনজীবী জানিয়েছেন, “দুজনই জেনেশুনে প্রতারণা করেননি বলে প্রমাণ করতে পেরেছেন। আয়করের ঝামেলা মিটিয়ে ফেলার ব্যাপারে তাঁদের আন্তরিকতাটুকুও বোঝাতে পেরেছেন।”
তবে আদালত থেকে বের হয়ে মেসির মুখে হাসি আর ‘থাম্বস আপ’ দেখানো একটা বার্তা অবশ্য দিয়েছে। আদালতকক্ষে বিব্রতকর কিছু হয়নি, সেই সাথে মেসিও কিছুটা নির্ভার।
তথ্যসূত্রঃ গোল.কম