দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বে বর্তমানে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা শতকরা ১১ ভাগ। শিশুশ্রম নির্মূলে জাতিসংঘের ২০১৬ সালের যে টার্গেট ছিল তা অর্জিত হচ্ছে না বলে আন্তর্জাতিক সংস্থার এক রিপোর্টে উল্লেখ্য করা হয়েছে।
সম্প্রতি আইএলও’র এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের শিশু শ্রম নির্মূল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দারিদ্রতা প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে । জতিসংঘ ২০১৬ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে শিশু শ্রম নির্মূল করার যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল তা অর্জিত হচ্ছে না বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল লেবার ওরগানাইজেশন আইএলও ।
রিপোর্টে বলা হয়, গত ১৩ বছরে ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশু শ্রমিকের হার ৩ গুণ হ্রাস পেলেও ২০১৬ সলের মধ্যে বিশ্ব থেকে শিশু শ্রম সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে জাতিসংঘ যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল তা অর্জনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। দারিদ্রতাসহ আরো কিছু কারণে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হচ্ছে না বলে আএলও’র ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ।
এশিয়া প্যাসিফিক ও সাব সাহারা অঞ্চলে যে বিপুল সংখ্যক শিশু রয়েছে তারমধ্যে সাব সাহারা অঞ্চলের শতকরা ২১ ভাগ, এশিয়া প্যাসিফিক ও ল্যাটিন আমেরিকা অঞ্চলের শতকরা ৯ ভাগ শিশু এবং উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের শতকরা ৮ ভাগ শিশু শ্রমিক হিসেবে কাজ করে বলে রিপোর্টে বলা হয়।
ব্রাজিলে শিশু শ্রম বিষয়ক তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয় ২০১২ সাল পর্যন্ত জরিপ অনুযায়ী বিশ্বে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ১৬ কোটি ৮০ লাখ। অর্থাৎ বিশ্বের মোট শিশুর শতকরা ১১ ভাগই শ্রমিক। এর মধ্যে আবার ৫ ভাগ ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়, মোট শিশু শ্রমিকের মধ্যে ৯ কোটি ৯৮ লাখ নারী শ্রমিক । ২০০০ সালে বিশ্বে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ২৪ কোটি ৬০ লাখ । ২০০৮ এ তা কমে দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ৫০ লাখে। আর ২০০৮ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা কমেছে আরো উল্লেখ্যযোগ্য হারে। এই সময়ে ছেলেদের তুলনায় মেয়ে শিশুদের সংখ্যা বেশি পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। বলা হয়েছে, ২০০৮ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে মেয়ে শিশুর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে শতকরা ৪০ ভাগ এবং ছেলে শিশুর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে শতকরা ২৫ ভাগ। আর ১৬ কোটি ৮০ লাখ শিশু শ্রমিকের মধ্যে শতকরা ৮৫ ভাগই ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সাথে জড়িত। ফলে স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে এসব শিশুরা হুমকির মুখে। তথ্যসূত্র: PBS NEWSHOUR