দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিজ্ঞানীরা সন্ধান পেয়েছেন ৪১৯ মিলিয়ন বছরের পুরনো মাছের ফসিল। ধারণা করা হচ্ছে, মাছটির মাধ্যমে বিবর্তনের ধারায় মেরুদন্ডী প্রাণীরা কি করে মুখের আদল পেল তা জানা যাবে।
মাছের ফসিলটি আবিষ্কার করেছে চীনের একটি দল। ফসিলটি চোয়াল সমৃদ্ধ প্রাণীদের সবচেয়ে পুরনো নমুনা সংরক্ষণ করে। ফসিলটির মুখের গঠন বিজ্ঞানীদের সব চেয়ে আগ্রহের বিষয়বস্তু হয়ে দাড়িয়েছে। কারণ মুখের আদল সমৃদ্ধ মাছের ফসিল এবারই প্রথম পাওয়া গেল।
৪১৯ মিলিয়ন বছরের পুরনো ফসিলটি বিজ্ঞানীদের জন্য একটি বড় চমক। এটি হাড় সমৃদ্ধ সবচেয়ে পুরনো মাছের ফসিল। মাছ বিবর্তনের ধারায় এক সময় ডাঙায় উঠে আসে। কবে, কি করে মাছ ডাঙায় উঠে এলো এবং কিভাবে স্থল মেরুদন্ডী প্রাণীদের আবির্ভাব হলো তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণার শেষ নেই। নতুন পাওয়া এই ফসিলটি অনেক প্রশ্নেরই জবাব দিবে আশা করা হচ্ছে।
ফসিলটির বৈজ্ঞানিক নাম Entelgnathus primordialis। Entelgnathus প্লাসোডার্ম শ্রেণীর মাছ। এটি আর্মড বা শক্ত খোলস আচ্ছাদিত। আকৃতিতে আট ইঞ্চি। ধারণা করা হয়, এটি চীনের সমুদ্রে ৪১৯ মিলিয়ন বছর পূর্বে বিচরণ করতো। অন্য প্লাসোডার্ম মাছের মত হলেও এটি আরো বেশি বিবর্তিত চোয়াল সমৃদ্ধ হাড়ের মাছ। এর আগে পাওয়া হাড় সমৃদ্ধ মাছের তুলনায় এটি ব্যতিক্রমও বটে।
বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে ফসিলটির হলোটাইপ তৈরি করেছেন। সেখানে মাছটির অনেক কিছুই বেরিয়ে এসেছে। মাছটির চোয়াল তুলনা করলে তা নিকট মেরুদন্ডী প্রাণীদের চোয়াল, এমনকি মানুষের চোয়ালের সাথে সাদৃশ্যতা স্পষ্ট করে। বলা হয়ে থাকে, স্থল মেরুদন্ডী প্রাণীদের আবির্ভাব ঘটে মূলত জলচর মাছ থেকে। এখন দেখার বিয়ষ প্রাপ্ত ফসিলটি কতটা এ বিষয়ক তথ্য প্রমাণ দেয়।
ফসিল এর বাংলা শব্দ জীবাশ্ম। প্রাচীন কালের উদ্ভিদ, প্রাণীর ধ্বংসাবশেষ কিংবা মৃতদেহ কালক্রমে কঠিন আবরণ এর রূপ পেয়ে সংরক্ষিত পাললিক শিলায় বা যৌগিক পদার্থে মিশ্রিত অবস্থায় দেখা যায়। ফসিল এর মাধ্যমে ভূতপূর্ব বিলুপ্ত অনেক প্রজাতির তথ্য পাওয়া যায়। গবেষকরা ফসিল বিশ্লেষণ করে সুদূর অতীতকালের বহু তথ্যই উদঘাটন করতে পারেন।
তথ্যসূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক