দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘি খেয়ে রোগা হওয়া অনেকের কাছেই বিস্ময়ের মনে হতেই পারে। তবে ভ্রান্তও মনে হতে পারে। ঘি খেয়েও কীভাবে ওজন ধরে রাখা যায়! তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই ঘি খেয়েই ওজন কমানো সম্ভব।
অফিস যাওয়ার পূর্বে ঘি মেখে আলুসেদ্ধ ভাত অনেকের প্রিয়। তবে ওজন বাড়ছে দেখে প্রথমেই আপনি ঘি খাওয়া বন্ধ করে দিলেন। তবে তাতেও যে বিশেষ সুফল পেলেন, তা কিন্তু নয়। তাই শেষ পর্যন্ত ভরসা রাখলেন পুষ্টিবিদের উপরেই। পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দিলেন, রোগা হওয়ার জন্য ঘি খাওয়া বন্ধ না করে বরং পরিমিত পরিমাণে খেতেই পারেন। ঘি খেয়ে রোগা হওয়ার এই বিষয়টি অনেকের কাছে সত্যিই বিস্ময়ের। তবে ভ্রান্ত ধারণা নয়। ঘি খেয়েও কীভাবে ওজন ধরে রাখা যায় সেটি আজ জেনে নিন।
হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে
হজমক্ষমতা ভালো হলে ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তা করার দরকারই পড়ে না। হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে হলে ঘি খেতে পারেন। ঘি’তে রয়েছে ‘মিডিয়াম চেইন ট্রাইগ্লিসারাইডস’, যা শরীর ভিতরকে থেকে চনমনে রাখতে সাহায্য করে। জমে থাকা ক্যালোরি পোড়াতে ঘি’র জুড়ি নেই।
মেদ ঝরাতে সাহায্য করে
ঘিয়ে রয়েছে ‘কনজুগেটেড লিনোলেইক অ্যাসিড’, যা শরীরের ফ্যাট গলনে সাহায্যও করে। ‘সিএলএ’ শরীরের ফ্যাট কমায় ও ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন যদি এক চামচ করেও ঘি খাওয়া যায়, তাহলে শরীরের মেদ জমার সুযোগ পাবে না।
খিদে কমাতে হলে
ঘি শরীরে এমন হরমোন ক্ষরণে সহায়তা করে যে, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে থাকে। ঘি খেলে বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতাও তখন অনেকটা কমে যায়। দু’টো খাবারের মাঝে অন্তত ঘণ্টা দু’য়েক বিরতি থাকাটা জরুরি। আবার পর পর খাবার খেতে থাকলে ওজন কমার চেয়ে বেড়েও যেতে পারে। তবে ঘি সেই ঝুঁকি কমিয়ে আনবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org