দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তথ্য প্রযুক্তির যুগে মানুষের জীবন অনেকটাই সহজ হয়েছে। ঘরে বসে সব কিছু অর্ডার করলেই পেয়ে যান নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। অনেক সময় দেখা যায়, এক পণ্য অর্ডার দিলে আরেক পণ্য চলে আসে, এমন বিড়ম্বনাতেও পড়তে হয়। তবে এবার এক ব্যক্তি বক্স খুলেই পেলেন এক বিষধর সাপ!
সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন ভারতের বেঙ্গালুরুর জনৈকা নারী। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, বেঙ্গালুরুর ওই নারী ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনে একটি এক্সবক্স কন্ট্রোলার অর্ডার করেছিলেন। ডেলিভারি ম্যান পার্সেল দিয়ে গেলে সেটি খোলার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি আঁতকে উঠেন। পার্সেল খুলতেই তখন বেরিয়ে আসে বিষধর সাপ কোবরা। তবে সৌভাগ্যক্রমে ওই সাপটি প্যাকেটের টেপে আটকে ছিল। তাই তাকে কামড়াতে পারেনি। যে কারণে এই যাত্রায় মৃত্যুর একদম কাছে গিয়েও প্রাণে বেঁচে যান ওই নারী।
প্রথম দিকে সাপ দেখার সঙ্গে সঙ্গে বিশাল ধাক্কা খেলেও পরে ওই মহিলা এই ঘটনার একটি ভিডিও করেন। এটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিতেই একেবারে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ভিডিওতে একটি আধ-খোলা অ্যামাজনের পার্সেল দেখা যায়। ওই পার্সেলের ওপর একটি কোবরা সাপ পালানোর চেষ্টাও করছে।
ইতিমধ্যেই সাপটি কোন প্রজাতির, সেটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এটি মূলত স্পেকট্যাক্লড কোবরা। কর্ণাটকে অত্যন্ত বিষধর এই প্রজাতির সাপ দেখতে পাওয়া যায়। অ্যামাজনের পার্সেলে সাপ পাওয়ার পর সেটিকে আটক করা হয় এবং পরে মানুষের নাগালের বাইরে নিরাপদ স্থানে ছেড়ে দেওয়া হয় এই সাপটি।
এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হওয়ার পর এক এক্স বার্তা অ্যামাজন হেল্প বলেছে, অ্যামাজনের অর্ডার নিয়ে আপনার অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমরা এই বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখতে চাই। অনুগ্রহ করে- প্রয়োজনীয় বিবরণ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করুন। আমাদের টিম খুব শীঘ্রই আপডেট নিয়ে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org