দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হলো ফেসবুক। এতে কোন বার্তা কিংবা ছবি পোস্ট করার পর লাইক এবং রিঅ্যাকশন সংখ্যা জানার অপেক্ষায় থাকেন অনেক ব্যবহারকারীরা। তবে অনেকেই লাইক এবং রিঅ্যাকশন সংখ্যা জানানো পছন্দও করেন না।
কম্পিউটার কিংবা আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস হতে ইচ্ছে করলেই খুব সহজেই ফেসবুক পোস্টের লাইক এবং রিঅ্যাকশনের সংখ্যা লুকিয়ে রাখতে পারবেন। ফেসবুক লাইক কিংবা রিঅ্যাকশনের সংখ্যা লুকিয়ে রাখার প্রক্রিয়াটি আজ দেখে নিন।
যেভাবে লুকাবেন অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ডিভাইস থেকে লাইক সংখ্যা
# প্রথমে ফেসবুক অ্যাপে প্রবেশ করুন।
# তারপর অ্যাপের মেনু বোতামে ট্যাপ করুন। এটি অ্যান্ড্রয়েডে ওপরের ডান দিকে, আইফোনে নিচের দিকে আনুভূমিক ৩টি লাইনের আইকোন।
# স্ক্রল করে নিচের দিকে গেলেই ‘সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসি’ অপশনটি দেখাবে।
# এবার ‘সেটিংস’ নির্বাচন করুন।
# তারপর সেটিংস হতে ‘রিঅ্যাকশন প্রিফারেন্সেস’ অপশনে ক্লিক করুন।
# তারপর এখানে ‘অন ইওর পোস্টস’ ও ‘অন পোস্টস ফ্রম আদার্স’ টগল বাটনে ট্যাপ করুন। এভাবে ফেসবুক পোস্টের লাইক সংখ্যাও লুকানো যাবে।
ফেসবুক পেজের লাইক সংখ্যা লুকাবেন যেভাবে
ফেসবুকের অনেক পেজে ব্যবহারকারীরা লাইক দেন। কোন কোন পেজে লাইক দিয়েছেন অনেকেই সেই তথ্য বন্ধু তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের কাছ থেকে লুকাতে চান। এটি লুকানো সম্ভব। তবে একেবারে সব পেজের লাইক এবং রিঅ্যাকশন লুকানো যাবেয় না। পেজের ক্যাটাগরি অনুসারে সেটি করতে হয়। সেজন্য নিচের ধাপগুলো আপনাকে অনুসরণ করতে হবে:
# প্রথমেই নিজের প্রোফাইল পেজে প্রবেশ করুন।
# এরপর ‘মোর’ অপশনে ক্লিক করুন এবং তারপর মেনু হতে ‘লাইক’ অপশনে ক্লিক করুন।
# লাইক সেকশনের তিনটি ডট (⋯) বাটনে ক্লিক করুন এবং তারপর ‘এডিট দ্য প্রাইভেসি অব ইউওর লাইকস’ অপশনটিকে নির্বাচন করুন।
# এবার ফেসবুক পেজের বিভিন্ন ক্যাটাগরির তালিকাও দেখানো হবে। প্রতিটি ক্যাটাগরির পাশেই প্রাইভেসি আইকোনে ক্লিক করুন।
# এবার অপশনগুলো থেকে ‘অনলি মি’ অপশনে ক্লিক করুন এবং ‘সেভ’ অপশন নির্বাচন করুন।
যেভাবে লুকাবেন কম্পিউটার থেকে লাইক সংখ্যা
# প্রথমেই কম্পিউটারের পছন্দমতো ব্রাউজার হতে ফেসবুক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
# এবার নিজের অ্যাকাউন্টের নাম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে তারপর ফেসবুকে প্রবেশ করুন।
# ওপরের ডান দিকে থাকা নিজের প্রোফাইল ছবিতে ক্লিক করতে হবে। এরপর একটি মেনু চালু হবে।
# তারপর মেনু থেকে ‘সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসি’ অপশন নির্বাচন করতে হবে। তারপর ‘সেটিংস’ অপশন নির্বাচন করতে হবে।
# এরপর ‘প্রাইভেসি’ অপশনে ক্লিক করুন।
# এরপর প্রাইভেসি সেকশনে প্রবেশ করার পর ‘রিঅ্যাকশন প্রিফারেন্সেস’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।
# এখানে ‘অন ইওর পোস্টস’ ও ‘অন পোস্টস ফ্রম আদার্স’ টগল বোতামও রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী একটি বা দু’টি অপশনে ক্লিক করুন। ‘অন ইওর পোস্টস’ অপশনে ক্লিক করলেই আপনার পোস্টে কয়টি লাইক রয়েছে সেটি আর দেখতে পারবে না অন্যরা। ‘অন পোস্টস ফ্রম আদার্স’ অপশনে ক্লিক করলেই অন্যের পোস্টে আসলে কয়টি লাইক পড়েছে তা আপনাকে দেখাবেই না ফেসবুক।
আর এভাবে ফেসবুক পোস্টের লাইক এবং রিঅ্যাকশনের সংখ্যা গোপন রাখতে পারবেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
Bengali 
English