দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্মার্টফোন কতোদিন টিকবে তা অনেকটাই নির্ভর করে আপনার ওপর। আপনি যদি ফোনটিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করেন, কীভাবে যত্ন নিচ্ছেন তার ওপরে হ্যান্ডসেটের আয়ু নির্ভর করে।
ঠিকমতো যত্ন না নিলে স্মার্টফোন নষ্ট হয়ে যেতে পারে– সেটি আমরা সকলেই জানি। তবে সেই ভুলগুলো আসলে কী কী সেটিই আজ জানবো।
প্রথমমত
নানা ব্যস্ততার পর সারাদিন ফোন ব্যবহার করার পর, যখন দিন শেষ হয়ে যায়, তখন ফোনের ব্যাটারিতে চার্জ কম থাকে। ফোনে ব্যাটারিতে চার্জ কম থাকার কারণে অনেকেই ঘুমানোর পূর্বে ফোন চার্জে রেখে ঘুমাতে যান। কারণ হলো সকালে ঘুম থেকে উঠলেই ফোন চার্জ হয়ে যায়। তবে আপনার এই ছোট্ট অসাবধানতা ধীরে ধীরে আপনার ফোনের ক্ষমতা ও ব্যাটারি লাইফ উভয়কে ধীরে ধীরে নষ্ট করেও দিতে থাকে। তাই এই কাজ থেকেও বিরত থাকুন।
দ্বিতীয়ত
অনেকেই সকালে ফোন চার্জ করে মনে করেন চার্জার ও ক্যাবলের কী দরকার? তবে ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে যখন ব্যাটারি কমতে শুরু করে, তখন অফিসে কিংবা যেখানেই থাকুন না কেনো, আপনি আপনার পরিচিতদের কাছে তাদের মোবাইলের চার্জার ও তারের জন্য জিজ্ঞাসা করুন। তবে এই ভুল আপনার ফোনের ক্ষতিও করতে পারে, শুধুমাত্র ফোনের সঙ্গে আসা আসল চার্জার ও তার ব্যবহার করুন।
তৃতীয়ত
যদি আপনি মোবাইলে কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করতে চান, যদি অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর কিংবা অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে খুঁজে না পান, তাহলে অনেকেই অ্যাপটির নাম লিখে গুগলে সার্চ করে থাকেন। অনুসন্ধানের ফলাফলগুলো উপস্থিত হওয়ার পর, লোকেরা কোনও অজানা সাইট হতে APK ফাইল ডাউনলোড করে ও চিন্তা না করে ডিভাইসে অ্যাপটি ইনস্টল করার ভুলও করে। তবে আপনার এই অভ্যাসটি আপনার ফোন নষ্টও করে দিতে পারে, অজানা সাইট হতে ইনস্টল করা অ্যাপে ভাইরাস কিংবা ম্যালওয়্যারও থাকতে পারে যাতে ফোনের ক্ষতি হতে পারে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org