পাঁচটি ধাপ অনুসরণ করে হয়ে যান চুম্বন বিশারদ!

দি ঢাকা টাইমস্‌ ডেস্ক ॥ জীবনে চুমু খায়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। বলা হয়ে থাকে স্বর্গ থেকে আসে ভালোবাসা আবার স্বর্গেই চলে যায়। আর ভালোবাসার কথা বললে অবধারিতভাবেই চুমুর কথা এসে পড়বে। সঙ্গিনীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের আদি এবং অকৃত্রিম মাধ্যমটির নাম যে চুম্বন – সেই বিষয়ে কেউই দ্বিমত করবেন না। তবে মানুষ চুমু দেয় নাকি খায়, এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা করা যেতে পারে, আপাতত এই প্রতিবেদনে আপনার জন্য থাকছে কীভাবে ভালোবাসার সঙ্গিনীকে মনে রাখার মতো চুম্বন দিতে পারবেন!

ধীরে আগানঃ

গভীর আনন্দের চুমুর জন্য আপনার নিজেকেই প্রথমে সহজ হতে হবে। মনে রাখবেন প্রথমেই জিহ্বার স্পর্শ দিয়ে বন্য হয়ে উঠতে যাবেন না, জিহ্বার স্পর্শ ছাড়াই আলতোভাবে ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে চুমু শুরু করতে হবে। এটাই কিছুসময় ধরে করে যান, যতক্ষণ না ওপাশ থেকে কাঙ্খিত সাড়া পাচ্ছেন। এবার ধীরে ধীরে আপনার সঙ্গিনীর জিহ্বার স্পর্শ নিন, আলতো ভাবে সঙ্গিনীর জিহ্বার সাথে আপনার জিহ্বার ঘর্ষন করুন। পালাক্রমে উপরের ঠোঁট, নীচের ঠোঁটের অবস্থান পরিবর্তন করে নিন। তবে, আপনার ধীরবস্থা ধরে রাখতে হবে আপনাকে।

শারীরিকভাবে প্রস্তুতি নিনঃ

এবার ভঙ্গি ঠিক করে নেয়া যাক! এটা ঠিক যে চুম্বনের সময় উভয়ের শরীরই খুব কাছাকাছি থাকে, তবে আপনি চাইলেই খুব সামান্য দূরত্ব বজায় রেখে চুম্বন শুরু করতে পারেন, পরবর্তীতে স্বাভাবিক নিয়মেই কাছাকাছি এসে পড়বে। এক পর্যায়ে যখন আপনি উষ্ণ হয়ে পড়বেন তখন শরীরকে আরও সহজ করে ফেলুন, ইংলিশে যাকে বলায়, “Relax Your body!” এসময় যদি আপনার মুখ দিয়ে আদুরে সুরে গোঙানির মতো আওয়াজ বের হয়, তবে ঘাবড়ে না গিয়ে স্বাভাবিক থাকুন, আপনার সঙ্গিনী এটি উপভোগই করবেন। চুম্বনের সময় হাতের কথা ভুলে যাওয়াটা রীতিমত শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে। হাত দুটিকে রাখুন সঙ্গিনীর পিঠে, ঘাড়ে, চুলের ভেতর কিংবা আপনার সঙ্গিনীর সুবিধামতো জায়গায়।

আত্মবিশ্বাসী/সাহসী হয়ে উঠুনঃ

একজন সাহসী এবং আত্মবিশ্বাসী মানুষ সেরা চুম্বনটিই দেয়ার চেষ্টা করে। তাজা নিঃশ্বাসের সাথে প্রস্তুতি নিন এবং নিজের ওপর আস্থা রাখুন যে এই অবস্থাকে চূড়ান্ত কামুকতায় নিয়ে যেতে পারবেন। মনে রাখবেন আপনার সঙ্গিনী ইতিমধ্যেই আপনার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছেন, এই অবস্থায় যদি আপনি দ্বিধান্বিত থাকেন, তবে সেটি হবে বিব্রতকর মূহুর্ত। সঙ্গিনীর সূক্ষ্ম ইঙ্গিতটুকু বুঝতে চেষ্টা করুন, সাহসিকতার সাথে এগিয়ে যান।

মিশে যানঃ

এতোক্ষণে আপনি চুম্বনের ক্ষেত্রে অনেকটাই স্বাধীনতা পেয়ে গিয়েছেন। সঙ্গিনীর নিচের ঠোঁট চর্বন করুন, উপরের ঠোঁট চুষে নিন, কানে স্পর্শ করুন ঠোঁট দিয়েই যাকে বলে সুড়সুড়ি দিন, ঘাড়ে আলতো নরম চুমু দিন, আপনার সঙ্গিনী শিহরিত হবেন। কামার্ত হয়ে তার গালটি চুমুতে ভিজিয়ে দিন, আপনার সঙ্গিনীও আপনার ব্যাপারে উৎসাহী হয়ে পড়বেন।

জীবনভর চুম্বন দেয়ার একটি পরিকল্পনা করে ফেলুনঃ

মনোভাব পরিবর্তনের সাথে সাথে চুম্বনের আবেদনেও পরিবর্তন আসতে পারে। পুরুষ এবং নারীর উভয়কে জড়িয়ে ধরার ব্যাপারটির মূল্য অনেক, তাই একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। এতে করে আপনি বৃদ্ধ হয়ে গেলেও দেখবেন আপনাদের চুম্বনের আবেদন সেই নতুন যৌবনের মতো সজীব রয়েছে। আপনার ওপর যতো বেশী আস্থা অর্জিত হবে, আপনাকে যতো ভালোলাগবে চুম্বনের আবেদন দিনদিন ততোই গাঢ় হবে। প্রতিটি সফল চুম্বনই যৌনসম্পর্ক পর্যন্ত গড়ায়, কাজেই সম্পর্কের প্রতি যত্নশীল থাকাটাই আপনার প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।