দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি হয়তো ঘরের ভিতর বাতাস পরিশোধনে এয়ার পিউরিফায়ার কিনতে চান? কেনার পূর্বে কোন দিকগুলো বুঝে নেওয়া দরকার।
কলকারখানা থেকে শুরু করে যানবাহন, দিনে দিনে বাড়ছে বায়ুদূষণ। ঋতু পরিবর্তনের সময়েও ব্যাক্টেরিয়া-ভাইরাসের প্রকোপ আরও বেড়ে যায়। বাতাসে মিশে থাকা ধুলো, রাসায়নিক, বিষাক্ত কণা হতে বাঁচতে কেও কেও এখন ঘরে এয়ার পিউরিফায়ারও লাগাচ্ছেন। বিশেষ করে যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এয়ার পিউরিফায়ার খুব কার্যকর। মূলত ঘরের বাতাস দূষণমুক্ত করতে যন্ত্রটির প্রয়োজনও হয়। এয়ার পিউরিফায়ার কিনতে গেলে কোন বিষয়গুলো দেখে নেবেন?
হেপা ফিল্টার
আর বাতাসে মিশে থাকা ক্ষুদ্র ধূলিকণা, ফুলের রেণু আটকানোর জন্য হেপা ফিল্টার থাকাটাও জরুরি। ০.৩ মাইক্রনের মতো ক্ষুদ্র কণা আটকাতে এই ফিল্টারও বিশেষ সহায়ক। ভালো মানের হেপা ফিল্টার রয়েছে কি-না দেখে তবেই যন্ত্রটি কেনার কথায় ভাবুন।
কার্বন ফিল্টার
এই ধরনের ফিল্টার যে সব জৈব উপাদানের জন্য অ্যালার্জি ছড়ায়, তা ঠেকাতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে, দুর্গন্ধ, ক্ষতিকর গ্যাস শোষণ করে, বায়ুকে শুদ্ধ করতেও সাহায্য করে। ফিল্টারের মান যতো ভালো হবে, বাতাস পরিশোধনে ততোই সুবিধা হবে।
সেন্সর
আধুনিক এয়ার পিউরিফায়ারে বিশেষ ধরনের ‘সেন্সর’ও থাকে, যা বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ অনুযায়ী যন্ত্রটিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতেও সাহায্য করে। এই ধরনের সেন্সরের সুবিধাযুক্ত যন্ত্র কিনলে ব্যবহার খুব সহজ হবে।
শব্দ কম যন্ত্র
কোন ধরনের যন্ত্রে শব্দ কম হয়, এয়ার পিউরিফায়ার কেনার সময় তা মাথায় রাখাটা দরকার। না হলে শোয়ার ঘরে কিংবা বসার ঘরে সেই যন্ত্র ব্যবহারে শব্দের জেরে শুতে-বসতে অসুবিধাও হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org