দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পলাশ মণি দাসের পরিচালনায় নির্মিত হলো টেলিফিল্ম ‘ফুটানি জামাই’। এই নাটকটি রচনা করেছেন ফরিদুল ইসলাম রুবেল। পারিবারিক গল্প নির্ভর টেলিফিল্মটিতে জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয়ে করেছেন আখম হাসান এবং পুনম হাসান জুঁই।
এছাড়াও টেলিফিল্মটিতে আরও অভিনয় করেছেন তারিক স্বপন, ফরিদ হোসাইন, সাইকা আহমেদ, কাকন চৌধুরী প্রমুখ। নির্মাতা পলাশ মণি দাস জানায়, খুব শীঘ্রই যে কোনো একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে টেলিফিল্মটি প্রচারিত হবে। এরপর বিয়ন্ড নেটওয়ার্ক ইউটিউব চ্যানেলে এই টেলিফিল্মটি মুক্তি দেওয়া হবে।
টেলিফিল্মটির গল্পে দেখা যায় যে, কপালে তোর নেইকো ঘি, ঠকঠকালে হবে কি। সামির সব সময় ফুটানি নিয়ে চলতেই ভালোবাসে। সংসার কিভাবে চলবে সেদিকে তার কোনোই মনোযোগ নেই। মিথ্যাকে এমনভাবে হাজির করে সেটিকে সবাই সত্য বলেই মনে করে। সামিরের অত্যাচারে অতীষ্ট স্ত্রী আলিয়া কি করবে তা বুঝে উঠতে পারে না।
হঠাৎ করে গ্রামে এক শুটিং ইউনিট আসার খবর নিয়ে আসে ইমরান। ইমরানের কাছে ছবির শুটিংয়ের কথা শুনেই নিজেকে ফিটফাটভাবে তৈরি করে দৌড়ে যায় ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করতে। কথাবার্তার একপর্যায়ে সম্পর্ক এমন একটা পর্যায়ে চলে যায় যে, সামির পুরো শুটিং ইউনিটের লোকদেরকে খাওয়াবে বলেও জানায়। বাড়িতে এসে স্ত্রীকে বললে সে তো রেগে একেবারে ফায়ার। সামিরের মা’ও ভীষণ খুশি হয় সামির ছবির নায়ক হবে ভেবে।
শুটিং এর নায়ক এই নায়িকার সঙ্গে অভিনয় করবে না বলে অস্বীকৃতি জানালে ডিরেক্টর হঠাৎ করে বিপদে পড়ে যান। এমতাবস্থায় কি করা যায় বুঝতে পারে না তিনি। সামিরকে দেখে ডিরেক্টর আশ্বস্ত হয় যে, একে দিয়েই ছবির নায়ক বানাবেন। সামির তো খুশির ওপর আরও মহাখুশি। গ্রামে মিষ্টি পর্যন্ত বিতরণ শুরু করে। তবে হঠাৎ করে একদিন খবর আসে, নায়িকা সামিরের বিপরীতে অভিনয় করবেন না। তখন সামিরের মাথায় যেনো আকাশ ভেঙে পড়লো। গ্রামের মানুষের সঙ্গে সব সময় বড় বড় কথা বলে এসেছে, এখন সবার সম্মুখে মাথা নতজানু অবস্থা হয়েছে।
এমন বিভিন্ন মজার ঘটনার মধ্যেদিয়ে এগিয়ে যায় সামিরের জীবনে ঘটে যাওয়া ‘ফুটানি জামাই’ এর কাহিনী।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org