দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইতিমধ্যেই দীপ্ত প্লে ওটিটি প্ল্যাটফরম জগতে বেশ এগিয়ে গেছে। বিশ্বের নানা সিরিজ ও দেশীয় বেশ কিছু সিরিজ মুক্তি দেওয়ার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই ওটিটি প্ল্যাটফরমটি। এবার ভৌতিক গল্পে ওয়েব ফিল্ম ‘বিভাবরী’ আসছে দীপ্ত প্লেতে।
ভৌতিক গল্পে ওয়েব ফিল্ম ‘বিভাবরী’র কাহিনী এমন- নিম্নবিত্ত ঘরের একজন মেয়ে নীতু। গ্রাম ছেড়ে পড়াশোনার জন্য শহরে এলেও জীবনযুদ্ধই যেনো তার নিত্যসঙ্গী। নিজের থাকা, খাওয়া, অসুস্থ মাকে টাকা পাঠানো-ডে কেয়ার সেন্টারে সামান্য বেবি সিটারের কাজ করা আয় দিয়েই তাকে এই সবকিছুই সামলাতে হয়। এমনকি টাকা বাঁচাতে তাকে থাকতে হয় শহরতলির শেষসীমায় একটি পুরনো হোস্টেলে।
তবে ইদানীং হঠাৎ করে হোস্টেলে ফেরার নির্জন পথে মাঝে-মধ্যে অদ্ভুত ধরনের শব্দ শুনতে পান সে। তার মনে হয় কিছু একটা ফলো করছে তাকে। তবে এইসবের কোনোই গুরুত্ব নেই তার জীবনে। বাড়তি আয়ের আশায় এক জনের পরামর্শে সে অনলাইনে বেবি সিটিং এর পেজ খুলে বসেন। সেই সুবাদেই একদিন কল আসে শহরের আরেকপ্রান্তের এক বাসায়।
বাবা-মা পার্টিতে যায়, বাচ্চকে রাখতে দিয়ে যান টেক কেয়ারের জন্য। তবে সে জানেই না আজকের রাতটি আসলে চন্দ্র গ্রহণের রাত, ক্ষুধিত আত্মার রাত। বিশেষত: তার মতো গোল্ডেন ব্লাড এর কোন মেয়ের জীবনে কি হতে যাচ্ছে, কারাই বা তাকে ফলো করতো নির্জন রাস্তায়!
এমন একটি গল্পে নির্মিত হয়েছে ওয়েব ফিল্ম বিভাবরী। নীশ দাস অপুর গল্প অবলম্বনে টিটো রহমানের চিত্রনাট্য এবং পরিচালনায় এই ওয়েব ফিল্মটিতে অভিনয় করেছেন সাদিয়া আয়মান, ইরেশ যাকের, রোজী সিদ্দিকী, ফারিহা শামস সেউতি ও রিফাহ নাজিবা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org