দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হিজবুল্লাহ প্রধান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রথম ভাষণেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে হত্যার হুমকি দিলেন শেখ নাঈম কাসেম।
একইসঙ্গে চলমান যুদ্ধে যুদ্ধবিরতির দরজাও খোলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। গতকাল বুধবার (৩০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
হিজবুল্লাহর হামলার ভয়ে নিজের জীবননাশের আশঙ্কাও করছেন নেতানিয়াহু। এমন এক দাবিও করেছেন নাঈম কাসেম। হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান আরও বলেছেন, বক্তৃতাকালে একজন ইসরায়েলিই একদিন নেতানিয়াহুকে হত্যা করবেন।
বুধবার নিজের প্রথম টেলিভিশন ভাষণে কাসেম বলেন, শত্রুকে অবশ্যই জানতে হবে যে আমাদের গ্রাম ও শহরগুলোতে বোমা হামলা চালিয়ে আমাদের পিছু হটানো যাবে না বরং এতে আমাদের প্রতিরোধ আরও শক্তিশালী হবে।
গত ২১ অক্টোবর নেতানিয়াহুর বাসভবনের শোবার ঘরে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল হিজবুল্লাহ। তবে ওই হামলার সময় নেতানিয়াহু ও তার পরিবারের সদস্যরাও সেখানে ছিলেন না।
নাঈম কাসেম আরও বলেছেন, আমরা নেতানিয়াহুর ঘরে একটি ড্রোন পাঠাতে সফল হয়েছি। নেতানিয়াহু এবার হয়তো বেঁচে গেছেন, তবে সম্ভবত তার শেষ সময় এখনও হয়তো আসেনি। সম্ভবত একজন ইসরায়েলিই তাকে হত্যা করবে, এটা হতে পারে তার বক্তৃতার সময়ই।
তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, নেতানিয়াহু খুব ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন, কারণ হলো আমরা তাকে লক্ষ্যবস্তু করেছি।
ইতিপূর্বে লেবাননের রাজনৈতিক এবং সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান হিসেবে নাঈম কাসেমের নাম ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট দাবি করেন যে, প্রকৃতপক্ষে নাঈম কাসেমের মেয়াদ হবে ‘সাময়িক’। তিনি বেশিদিন টিকে থাকতে পারবেন না।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org