দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় এক সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে আলোচনায় উঠে আসেন ফারজানা সিঁথি। শুধু তা-ই নয়, সেই আন্দোলনের নানা সময় তাকে দেখা যায় নানা ভূমিকায়। সেই সিঁথি এবার গানের মডেল হচ্ছেন।
এবার নতুন খবর হলোর মিউজিক ভিডিওতে দেখা যাবে। তবে তাকে দেখা যাবে দেশের জনপ্রিয় গায়ক আসিফ আকবরের গানে। সিঁথির সঙ্গে ওই গানে সহমডেল থাকছেন শেখ সাদী।
গানের কথাগুলো হলো- ইচ্ছেরা যেনো মেলেছে ডানা, মন খুশির কারণটা আজ কেনো লাগছে অজানা, ভেসেছি আজ প্রেমের দেশে নিয়ে স্বপ্নকে তোমার, ভালোবাসার তাজমহলে খুলে গেছে সিংহদ্বার, তুমি আমার এ পৃথিবী, তুমি ছাড়া আজ সব অচেনা।
এই গানের সুর ও সঙ্গীত করেছেন রাজীব ও মোনা। কথা লিখেছেন বূদ্ধাদিত্য মূখার্জী ( বাংলা), শাদাব আখতার (বেপানা দিল- হিন্দি)। এই গানে আসিফ আকবরের সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন মুম্বাইয়ের নিকিতা গান্ধী।
এই বিষয়ে আসিফ আকবর বলেছেন, মুম্বাই ফিল্মের মিউজিক ডিরেক্টর রাজীব রয় চৌধুরী ভালোবেসে এই গানটি আমাকে উপহার দিয়েছেন। ইচ্ছেরা গানটি প্রথমে বাংলা, এরপরে হিন্দি- দুই ভার্সনেই রিলিজ হবে। ফেমাস হিন্দি গান বুর্জ খলিফা- গানের গায়িকা নিকিতা গান্ধী এই গানের কো-আর্টিস্ট। গানের রেকর্ডিং হয়েছে আরও ৫ মাস পূর্বে। এখন শুরু হচ্ছে গানের শুটিং।
আসিফ আরও বলেন, নিটোল প্রেমের গানটির মডেল হিসেবে আমি নিজে পছন্দ করেছি জেন-জি কন্যা ফারজানা সিঁথি ও তরুণ সংগীতশিল্পী শেখ সাদীকে। গানের শুটিং হবে গাজীপুরের শালদহ ইকো রিসোর্ট এ। ভিডিও পরিচালনা করবেন সৌমিত্র ঘোষ ইমন। গানে গানে আবার মুখর হয়ে উঠুক আমাদের পরিবেশ, প্রতিবেশ।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org