দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেসিস সদস্যদের জন্য বিশেষ জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা চালুর লক্ষ্যে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি (এমটিবি)-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
রবিবার (১৭ নভেম্বর), এমটিবি-এর প্রধান কার্যালয় গুলশানে স্বাক্ষরিত এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বেসিস সদস্যরা সহজ শর্তে জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা পাবেন, যা তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্যভাবে সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে বেসিসের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি এম রাশিদুল হাসান, সহ-সভাপতি (অর্থ) এম আসিফ রহমান, পরিচালক বিপ্লব ঘোষ রাহুল, বেসিস মেম্বার সার্ভিসেস এন্ড ওয়েলফেয়ার বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আনিসুল হক ভূঁইয়া এবং বেসিস সচিবালয়ের নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জাকারিয়া ইসলাম।
অপরদিকে, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিবিও মো. খালিদ মাহমুদ খান এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও হেড অফ সিআরএম উসমান রাশেদ মুয়িন।
অনুষ্ঠানে বেসিসের সভাপতি এম রাশিদুল হাসান বলেন, “”মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব বেসিস সদস্যদের জন্য নতুন আর্থিক সুযোগের দ্বার উন্মুক্ত করেছে, যা তাদের উদ্ভাবন ও প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে।” মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, “”বেসিসের সঙ্গে এই অংশীদারিত্বে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এটি তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের জন্য জামানতবিহীন ঋণের মাধ্যমে মূলধন পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করবে।”
বেসিসের সহ-সভাপতি (অর্থ) এম আসিফ রহমান বলেন, “”এই সমঝোতা স্মারক বেসিস সদস্যদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা তাদের জন্য কাস্টমাইজড আর্থিক সুবিধা প্রদান করবে এবং দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।” এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে জামানতের প্রয়োজনীয়তা দূর হওয়ার ফলে, বিশেষত নতুন উদ্যোগের জন্য, ঋণ পাওয়া আরও সহজ ও কার্যকর হবে। ফলে সদস্যরা দ্রুত মূলধন সংগ্রহ করে তাদের ব্যবসায়িক উন্নয়নে মনোযোগ দিতে পারবেন। এই অংশীদারিত্ব বিশেষত স্টার্টআপ এবং নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org