দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের মাটিতেই নির্মিত হবে স্প্যানিশ প্রযুক্তিতে সি২৯৫ বিমান। মাঝারি আকারের এই উড়োজাহাটি মূলত কৌশলগত পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা যাবে।
এই বিমান নির্মাণ করা হবে ভারতের গুজরাতের ভদোদরার একটি বিমান উৎপাদন কেন্দ্রে। সম্প্রতি সেই কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারসঙ্গে ছিলেন স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো সানচেজ। -খবর দ্য হিন্দুস্তান টাইমসের।
জানা যায়, ইতিমধ্যেই সি২৯৫ বিমানটি ইউরোপের ‘এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস’ বিভাগের অন্তর্ভুক্তও হয়েছে। আগামী দিনে এই বিমান ভারতের বিমান পরিষেবা এবং প্রতিরক্ষা-সংক্রান্ত উৎপাদনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ১৮ বছরের মধ্যে এই প্রথম স্পেনের কোনো প্রেসিডেন্ট ভারত সফরে আসেন। এদিন মোদি ও সানচেজ, ভদোদরার টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস ক্যাম্পাসে অবস্থিত এই বিমান উৎপাদন কেন্দ্র একসঙ্গে পরিদর্শন করেন।
জানা যায়, এয়ারবাস স্পেনের সঙ্গে যৌথভাবে এই বিমান নির্মাণ কেন্দ্র তৈরি করেছে ভারতের টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস।
২০২১ সালের স্বাক্ষরিত এক চুক্তি অনুসারে, ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে মোট ৫৬টি এয়ারবাস সি২৯৫ বিমান কিনবে ভারতের বিমান বাহিনী। এরমধ্যে ৪০টি বিমান নির্মিত হবে ভদোদরার এই কেন্দ্রটিতে। বাকি ১৬টি বিমান আসবে স্পেনের সেভিল হতে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org