দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিজ্ঞান শুধুই এগিয়ে চলেছে। গবেষকরা এমন একটি ডাটাবেজ প্যাটেন্ট করেছে যা গর্ভস্থ অনাগত শিশুর ভবিতব্য জানা যাবে।
অনলাইন খবরে বলা হয়েছে, টোয়েন্টিথ্রিঅ্যান্ডমি (২৩ধহফগব) নামে যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানি এমন একটি ডাটাবেজ প্যাটেন্ট করেছে, যা হবু বাবা-মাকে তাদের অনাগত সন্তান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দিতে সক্ষম। তথ্যসূত্র: দৈনিক সমকাল।
ওই কোম্পানিটি বলেছে, ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তৈরি করা ফ্যামিলি ট্রেইটস ইন্টেরিয়র ক্যালকুলেটর নামের এই ডাটাবেজ গর্ভস্থ শিশু ভবিষ্যতে কোন ধরনের রোগশোক কিংবা সমস্যায় ভুগবে তার আগাম তথ্য জানাতে সক্ষম হবে। তা ছাড়া গর্ভস্থ শিশুটি পূর্ণ বয়স্ক হলে তার ওজন, উচ্চতা, ব্যক্তিত্ব এসব কী ধরনের হবে, সেসব আভাসও দিতে পারবে!
খবরে বলা আরও বলা হয়েছে, বাবা-মা হতে যাচ্ছেন এমন যুগলরা এরই মধ্যে কোম্পানিটির কাছে নিজের থুথুর স্যাম্পল পাঠাচ্ছেন অনাগত শিশু সম্পর্কে নানা বিষয় আগেভাগে জেনে নিতে। কোম্পানিটিও বিষয়টিকে আরও এগিয়ে নিতে তা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করার জন্য ক্লিনিকগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তবে টোয়েন্টিথ্রিঅ্যান্ডমি’র ‘বিল্ড অ্যা বেবি’ নামের এই পেটেন্টের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে নানা ধরনের সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। অনেকে এটাকে ‘অনৈতিক’ এবং সামাজিকভাবে ‘অনির্ভরযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছে। ফলে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক কোম্পানি মাউন্টিন ভিউ অবশ্য তড়িঘড়ি করে জানিয়েছে, তাদের পরিকল্পনাটি খুবই সাময়িক। এটা বেশি দিন ধরে চালু থাকবে না।
এই বিষয় নিয়ে সমালোচকরা মনে করছেন, বাবা-মায়েরা এর দ্বারা জেনেটিক ব্যাপার স্যাপারের মধ্যে চাইলে আঙুল চুবিয়ে দিয়ে ইচ্ছেমতো নাড়াচাড়া করতে পারবেন আর আপত্তিটা এখানেই। তারা বলছেন, এমন প্রযুক্তি মানুষের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। বরং মানুষ অযাচিত ব্যবহারের মধ্য দিয়ে এটার ক্ষতিকর দিকটাকেই কাজে লাগাতে চাইবে সব সময়। সমালোচকরা মনে করেন, এটি অনাগত অনেক শিশুর জীবন নাশেরও কারণ হতে পারে।
অবশ্য এই সমালোচনার মুখে নিজেদের ব্লগে কোম্পানিটি লিখেছে, ‘টোয়েন্টিথ্রিঅ্যান্ডমি ফ্যামিলি ট্রেইটস ইন্টেরিয়র ক্যালকুলেটর নামের এই ডাটাবেসটি পেটেন্ট করার সময় এমন একটা বিবেচনাবোধ কাজ করেছিল যে, এটি ক্লিনিকগুলোর কাজে খুব একটা সহায়ক ভূমিকা রাখবে; কিন্তু যেভাবে বা যেসব প্রসঙ্গে সমালোচনা করা হচ্ছে, তা আমাদের মাথায়ও ছিল না।’