দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯৫১ সালের নভেম্বর মাসে বিয়ে হয় ফে ও রবার্টের। বিয়ের পর চার সন্তানের জন্মও দেন ফে। ২৪ বছর সংসারের পর ব্যক্তিগত কারণে ১৯৭৫ সালে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। ৪৯ বছর পর প্রাক্তন স্ত্রীকে আবারও বিয়ে ৯৪ বছরে!
তিনি বিয়ে করেছিলেন প্রেম করে। ২৪ বছর সংসারও করেছেন। এরপর ছাদ আলাদা হয়েছে। জীবনসঙ্গীও বদলে গেছে। তবে ভালোবাসার টানে বিবাহবিচ্ছেদের ৪৯ বছরের পর বিয়ে করলেন ৯৪ বছরের পাত্র ও ৮৯ বছরের পাত্রী। ৮ ডিসেম্বর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের উপস্থিতিতে বিয়ে সারেন তারা। ঘটনাটি ঘটেছে পেনসিলভ্যানিয়ার ডেনভারে। ওই পাত্রের নাম রবার্ট ওয়েনরিচ ও পাত্রীর নাম ফে গেবল।
ল্যাঙ্কাস্টার অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রবার্ট ও ফের কনিষ্ঠ কন্যা ক্যারল স্মিথ জানিয়েছেন যে, কিশোর বয়সে আলাপ হয়েছিল তার বাবা ও মায়ের। জীবনে প্রায় সব কিছুই একসঙ্গে করেছেন রবার্ট ও ফে। ১৯৫০ সালের গোড়ার দিকে আলাপ হয় ফে ও রবার্টের মধ্যে। ফের দাদার প্রিয় বন্ধু ছিলেন রবার্ট। বন্ধুর বোনের প্রেমে পড়ে যান তখনকার তরুণ রবার্ট। ১৯৫১ সালের নভেম্বর মাসে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ৪ সন্তানের জন্ম দেন ফে। ২৪ বছরের সংসারের পর ব্যক্তিগত কারণে ১৯৭৫ সালে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটনা ফে ও রবার্ট। বিচ্ছেদের পর তারা আবারও নতুন জীবনসঙ্গী খুঁজে পান। তাদের বিয়েও হয়। তবে দুর্ভাগ্যবশত দু’জনের সঙ্গীই মারা যান। বিচ্ছেদের পর অবশ্য ফে ও রবার্টের যোগাযোগে ভাটা পড়েনি। পারিবারিক অনুষ্ঠানে একসঙ্গে যেতেন দু’জনে। তবে ভালোবাসার টানই আবারও কাছে আনলো দু’জনকে। সম্প্রতি বিয়ে সেরে ফেললেন তারা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org