দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের মহত্তম কথাশিল্পীদের অন্যতম গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ। তার বহু রচনার মধ্যে অন্যতম আলোচিত নোবেলজয়ী উপন্যাস হলো ‘ওয়ান হানড্রেড ইয়ারস অব সলিচিউড’। যার বাংলা নাম হলো ‘নিঃসঙ্গতার একশ বছর’! সেই বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে নেটফ্লিক্স নির্মাণ করেছে একই নামের সিরিজটি!
১১ ডিসেম্বর হতে নেটফ্লিক্সে দেখা যাচ্ছে এই সিরিজটি! এতে রয়েছে ৮টি অ্যাপিসোড! যার প্রতিটিই ১ ঘণ্টারও বেশি ব্যাপ্তির!
অ্যালেক্স গার্সিয়া লোপেজ এবং লরা মোরা দু’জন মিলে পরিচালনা করেছেন ‘ওয়ান হানড্রেড ইয়ারস অব সলিচিউড’ সিরিজটি।
যা প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছে কলম্বিয়ান প্রোডাকশন কোম্পানি ডাইনামো। লিখেছেন জোস রিভেরা, কামিলা ব্রুজেস, নাটালিয়া সানতা, মারিয়া কামিলা ও অ্যালবাট্রোস গনজালেস।
এই সিরিজটির পুরোটাই শুটিং করা হয়েছে কলাম্বিয়াতে। প্রয়াত লেখক গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের পরিবার পুরো সমর্থন ও সহযোগিতা করেছেন বলে পূর্বে জানিয়েছিেলেন সিরিজ সংশ্লিষ্টরা।
এই সিরিজে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্লাউডিও কাতানো, জেরোনিমো ব্যারন, লিওনার্দো সোতো, মারকো গনজালেস, সুসানা মোরালেস, কারলোস সুয়ারেজ, এলা বেসেরা, মোরেনি বরজা ও সান্তিয়াগো ভাসকুয়েজ।
বিশ্ব সাহিত্যের একজন দাপুটে এবং কিংবদন্তী ব্যক্তিত্ব ছিলেন গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ। সাহিত্যে ‘ম্যাজিক রিয়েলিজম’ এর সফল ব্যবহার তার হাত ধরেই উঠে আসে। তার লেখা গল্প, উপন্যাস হতে চলচ্চিত্র নির্মাণ নতুন কোনো ঘটনা নয়। তবে এবার তার লেখা সবচেয়ে আলোচিত, প্রশংসিত ও একইসঙ্গে সবচেয়ে জটিল সাহিত্যকর্ম ‘নিঃসঙ্গতার একশ বছর’কে পর্দায় নিয়ে এলো বিশ্বখ্যাত ওটিটি প্লাটফর্ম নেটফ্লিক্স!
জানা যায়, মূলত ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত হয় এই উপন্যাসটি। ৫০ মিলিয়নের বেশি কপি বিক্রি করা হয় এবং অনুবাদ করা হয় ৪০টিরও বেশি ভাষায়। উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের সাহিত্যে আধুনিকতা এবং কিউবায় ভ্যানগার্ডিয়া শিল্প-আন্দোলনের অনুপ্রেরণাও ছিল এটিতে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org